ক্যাচ মিসে বোলারদের কৃতিত্ব ম্লান এই সিরিজে
সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানে হার। চট্টগ্রামের পরাজয়ের ব্যবধান ১৯২ রান। দুই টেস্টে রান তাড়ায় কখনোই কোনো সময়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের ধারেকাছেই ছিল না। একতরফা ভঙ্গিতে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। হোয়াইটওয়াশড হওয়া টেস্ট সিরিজ থেকে তাহলে কিছুই পেল না বাংলাদেশ?
- পেয়েছে। সিরিজে যা কিছু প্রাপ্তি তার সবটুকুই কেবল পেয়েছেন শুধু বোলাররা। সিলেট টেস্টের উভয় ইনিংসেই বাংলাদেশের পেসাররা শ্রীলঙ্কার টপঅর্ডার গুড়িয়ে দেন প্রায়। কিন্তু মাত্র দুজন ব্যাটার দু’দফায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সেই সঙ্কট থেকে উদ্ধার করেন। এই দুজন হলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এই দুজনের ব্যাটিং কৃতিত্বে এবং বাংলাদেশের ফিল্ডারদের এক নাগাড়ে ক্যাচ মিসের মহড়ায় বোলারদের সব সাফল্য ম্লান হয়ে যায়।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বিশ্লেষণও অমনই। মিরপুরে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলছিলেন,‘ আমাদের বোলাররা সিরিজজুড়ে ভালো বোলিং করেছেন। শ্রীলঙ্কার টপঅর্ডার ব্যাটাররাও সিলেট টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিল। মাত্র দুজন ব্যাটার তাদের উভয় ইনিংসে সেই একই ভাবে প্রতিরোধ গড়েছিল। আমাদের ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং যদি ভালো হতো তাহলে আমরাও অনেক এগিয়ে থাকতে পারতাম। গোটা সিরিজে আমাদের বোলাররা যে উজ্জ্বলতা ও দক্ষতা দেখিয়েছে সেটা বাজে ফিল্ডিং এবং লাগাতার ক্যাচ মিসের কারণে ঢাকা পড়ে গেছে। স্লিপ ফিল্ডিংয়ে আমাদের যে স্পেশালাইজেশন প্রয়োজন সেটা আরেকবার এই সিরিজে প্রমাণিত হলো। ক্যাচ মিসের কারণ পুরো সিরিজে আমাদের কি পরিমান মাসুল দিতে হয়েছে সেটা সিরিজের ফলই বলে দিচ্ছে। শূন্য রানে থাকা ব্যাটারের ক্যাচ ছাড়লাম আমরা। সেই ব্যাটার সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়লেন। জুটিতে গড়লেন দুশো রান। ম্যাচ তো সেখানেই ছুটেই গেল। আশা করছি এসব ভুলের বিষয়টা খেলোয়াড়রা খুব দ্রুতই উপলদ্ধি করবে। একটা টেস্ট সিরিজ আমরা খারাপ করেছি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য টিম, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম অপারেশন্স সবার সঙ্গে বসতে হবে। অনেকের যুক্তি ও প্রস্তাবনা শুনবো আমরা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের মান নিয়ে যে কথা উঠেছে, সেটাও আমরা শুনেছি। সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’