মুস্তাফিজবিহীন চেন্নাইয়ের বিপক্ষে সহজ জয় হায়দরাবাদের
আসরের শুরুর দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে সেই ছন্দে হারায় কিছুটা। এবার চতুর্থ ম্যাচে এসে আরও খানিকটা। এতে আসরের অন্যতম মারকুটে ব্যাটারদের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেই লক্ষ্য পোঁছাতে যেন কোনো বেগই পেতে হলো না হায়রাবাদকে। এতে মুস্তাফিজের আইপিএলের হাতেখড়ির দলটির কাছে ৬ উইকেটে হারল মুস্তাফিজের বর্তমান দল চেন্নাই।
চেন্নাইয়ের হয়ে শুরুর তিন ম্যাচে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন মুস্তাফিজ। সেখানে নেন ৭ উইকেট। তবে চতুর্থ ম্যাচে এই বাঁহাতি পেসারকে থাকতে হয় একাদশের বাইরে। তবে না, কোনো চোট বা ফর্মহীনতা নয় ভিসার কাজে বাংলাদেশের ফেরায় এ ম্যাচে একাদশে বাইরে ছিলেন মুস্তাফিজ।
হায়দরাবাদের মাঠে আগের দিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়িয়ে সময়মতো শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান যোগ করে চেন্নাই।
সেই রান তাড়ায় ওপেনার অভিষেক শর্মার ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা দারুণ পায় হায়দরাবাদ। ১৬ বলের ওপেনিং জুতিতেই আসে ৪৬ রানে। সেখানে আগুন ঝরানো ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করেন অভিষেক। ম্যাচ শেষে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও।
পরে দ্বিতীয় উইকেটে মার্করামকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন হেড। ২ উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে তখন মোট রান ১০৬। জয়ের জন্য ৬২ বলে দরকার ৬০ রান, অর্থাৎ বলের চেয়ে রান কম। ৩৪ রান করে হেড ফেরার পর ১৪তম ওভারের শেষ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ফেরেন মার্করামও। বাকি পথে সহজেই পাড়ি দেন ক্লাসেন-নিতিশরা। এতে ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মঈন আলী।
এই জয়ে আসরের চার ম্যাচে দুটিতে জিতল হায়দরাবাদ। এদিকে দুই ম্যাচে জয় দিয়ে শুরুর পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল চেন্নাই।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। তবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়, আজিঙ্কা রাহানে ও শিবাম দুবের নৈপুণ্যে সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামাল দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টপ-অর্ডারদের ব্যাটিং ছন্দে ১৪ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১২০ রান।
সংগ্রহ উঁকি দিচ্ছিল ২০০-তেই। তবে শেষ ৬ ওভারে রানের গতি চলে যায় মেরুর ঠিক উলটো দিকে। সেখানে স্রেফ ৫টি চার মারে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। নেই কোনো ছক্কার মার। হাতে উইকেট সংখ্যা বেশি থাকলেও শেষ ৩৬ বলে আসে স্রেফ ৪৫ রান। শেষ দিকে রানের এই ধীর গতিতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন উড়িয়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় চেন্নাই। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন দুবে। রাহানে করেন ৩৫ রান। শেষ দিকে এসে উইকেট হাতে থাকলেও রানের খাতায় অতি সাধারণ কিছুই আসে চেন্নাইয়ের। ফলাফল এই ম্যাচেও হার।