৫ বছর নিষিদ্ধ বিপিএল খেলা উসমান খান
উসমান খান। পুরো পরিচয় না দিলেও যে কেউ ভেবে নিবে এই ক্রিকেটারটি পাকিস্তানেরই। এমন চিন্তা আবার পুরোটা ভুলও না। তিনি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটার হলেও জন্মসূত্রে একজন পাকিস্তানি। শুরুতেই নাম, দেশ টেনে এমন পরিচয় দেওয়ার কারণের গেরো এবার খুলা যাক। ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের খেলার কথা ছিল আরব আমিরাতের জাতীয় দলের হয়ে। তবে তা এড়িয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। এটিকে চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনায় এনে উসমানকে ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
আরব আমিরাতের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হলে বাইরের দেশের কাউকে অন্তত ৩ বছর থাকতে হয় সেখানে। জীবিকা সূত্রে ২০২০ সালে দেশটিতে যান উসমান। কার্যত তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিপিএল, পিএসএলে গত চার বছর ধরেই খেলার কারণে আরব আমিরাতের হয়ে ক্রিকেট খেলার প্রক্রিয়াটি পূরণ হতে এখনো বাকি ১৪ মাস।
তবে উসমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশটির হয়ে খেলার জন্য। এতে আগে থেকেই পাচ্ছিলেন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় সেখানে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এতেই চটেছে ইসিবি এবং তদন্তের পর উসমানের এমন সিদ্ধান্তকে চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।
ইসিবির সেই বিজ্ঞপ্তিতে বল আহ্যেছে, ‘উসমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে খেলা নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। সে ইসিবি কর্তৃক সুবিধা গ্রহণ করেছে। এটা স্পষ্ট যে, সে আর ইসিবির হয়ে খেলতে চায় না কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে খেলতে হলে বাকি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সেটা আর শেষ করতে চায় না।’
এই নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে আগামী ৫ বছর ইসিবি আয়জিত কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না উসমান।
২০২১ আসর থেকে পিএসএলে নিয়মিত মুখ হলে বিপিএলের ২০২৩ আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হয়ে খেলেন উসমান। সেখানে আসরে দলটির দ্বিতীয় ম্যাচেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। যা তারা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম। সেই আসরে চট্টগ্রামের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে ১৩৪ স্ট্রাইক রেটে ২৯৬ রান করেছিলেন তিনি। একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও করেছিলেন একটি ফিফটি।