রনির ৭ উইকেট, ৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স
সাত সকালে আবু হায়দার রনি তোপই দাগালেন বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে। আর সেই তোপে রীতিমতো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। রনি ২০ রান খরচায় তুলে নিলেন ৭ উইকেট। আর তাতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে গাজী টায়ার্স অলআউট হয়ে গেল ৪০ রান তুলতেই।
বছরের এই সময়টায় দিনে প্রচণ্ড গরম পড়লেও দিনের শুরুতে উইকেটে ঠিকই থাকে আদ্রতার উপস্থিতি। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠেও তাই ছিল। তবু এখানে কী মনে করে যেন, গাজী টায়ার্স অধিনায়ক গাজী তাহজিবুল টস জিতে নিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। সে সিদ্ধান্তটাই যেন বুমেরাং হলো তার দলের জন্য!
দিনটা এমন হতে চলেছে, তা ম্যাচের প্রথম ওভারে অন্তত মনে হয়নি। সে ওভারে নাসুম আহমেদ কোনো রান না দিলেও উইকেট অবশ্য তুলে নিতে পারেননি। পরের ওভারে আক্রমণে এলেন আবু হায়দার রনি। পরিস্থিতিটা ভোজবাজির মতো বদলে গেল তখনই।
ওয়াইড দিয়ে ওভার শুরু করা রনি পরের পাঁচ বলে আশিকুর রহমান শিবলি আর ইফতিখার হোসাইন ইফতির উইকেট তুলে নেন। সেই যে ‘উইকেট-প্রপাত’ শুরু হলো, তা আর শেষ হলো না ইনিংস শেষের আগ পর্যন্ত।
পরের ওভারে নাসুম তুলে নিলেন মহব্বত হোসেন রোমানকে। এরপর আবার ‘রনি-শো’; হাফিজুর রহমানকে ফেললেন এলবিডব্লুর ফাঁদে, এরপর অধিনায়ক গাজী তাহজিবুলকে ক্যাচ বানালেন ইমরুল কায়েসের। লিস্ট এ ক্রিকেতে ৫০তম উইকেটের দেখা পেয়ে যান এই উইকেট দিয়ে।
পরের উইকেটের দেখা পেতে অবশ্য ‘অনেক’ অপেক্ষা করতে হয়েছে মোহামেডানকে। সপ্তম ওভারে নাসুম ফেরান শামিম মিয়াকে। এরপর রনি তার ফাইফার পূরণ করেন আশরাফুল আলম আসিফকে আউট করে। নাসুম তার পরের ওভারেও পেয়েছেন উইকেট। মেহেরাব জোশিকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
এরপর ১২তম ওভারে গিয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৬ রান করা ইফতেখার সাজ্জাদ আর ইকবাল হোসেন ইমনকে ফিরিয়ে গাজী টায়ার্স ইনিংসের ইতি টানেন রনি, ৪০ রানে অলআউট হয় দলটা।
২০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন রনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে এটাই তার সেরা বোলিং ফিগার।