তানজিমের ফাইফারের পর মোসাদ্দেকের তাণ্ডব, ১১ ওভারে জিতল আবাহনী
‘ভাই ম্যাচটা তাড়াতাড়ি শেষ করেন, অনেক দিন পর বাড়ি যাবো!’ – কথাটা নুরুল হাসান সোহানের। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বলেছিলেন এ কথা। সেটা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনাতেও ছিল বেশ অনেক দিন। মিম হয়ে ঘুরেছে এ ওয়াল থেকে ওই ওয়ালে।
আড়াই বছর পর এসে এই উক্তিটা মনে করিয়ে দিচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। গত দুই দিন ধরে অনেক ম্যাচই তো শেষ হয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে! আজকে আবাহনী আর লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের মধ্যকার ম্যাচটার কথাই ধরুন, শেষ হয়ে গেছে অর্ধেক সময় পার হওয়ার আগেই; ১০০ ওভারের খেলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে ৩৯.১ ওভারেই। শুরুতে তানজিম হাসান সাকিবের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি রূপগঞ্জ, অলআউট হয়েছে ৯৯ রানে। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১১তম ওভারেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী। এরপর শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিবদের আগুনে বোলিংয়ে শুরুতেই রূপগঞ্জকে চাপে ফেলে দেয় দলটা। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শামীম পাটোয়ারি, শুভাগত হোম, মাশরাফি বিন মুর্তজাদের নিয়ে গড়া তারকাখচিত লাইন আপটা রীতিমতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙেই পড়েছে তাদের সামনে। সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংসটা আসে শামীমের ব্যাট থেকে। শরিফুল ৩, তাসকিন ২ আর সাকিব নেন ৫ উইকেট।
জবাবে আবাহনী নাইম শেখ আর তাওহীদ হৃদয়ের দুটো উইকেট হারালেও মোসাদ্দেক হোসেনের ঝোড়ো ইনিংস আর এনামুল হক বিজয়ের স্থিতধী ব্যাটিংয়ে ভর করে চলে যায় জয়ের বন্দরে, তাও মাত্র ১০.৪ ওভার ব্যাট করেই। মোসাদ্দেক করেন ১৮ বলে ৪৮, ৫ চার আর ৪ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এনামুল হক বিজয় অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে। ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে তবেই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
স্কোরকার্ড
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ৯৯/১০, ২৮.৩ ওভার (শামীম ১৮; সাকিব ৫-২৩, শরিফুল ৩-২৯, তাসকিন ২-১৬)
আবাহনী ১০১/২, ১০.৪ ওভার (মোসাদ্দেক ৪৮, এনামুল ৩৭; আবদুল হালিম ১-২৬, আল আমিন ১-৩৫)
ফলাফল– আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা– তানজিম হাসান সাকিব