কোহলির সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বাটলারের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুকে হারাল রাজস্থান

কোহলির সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বাটলারের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুকে হারাল রাজস্থান

আইপিএলের এবারের আসরে শুরুর ১৮ ম্যাচে দেখা মেলেনি ব্যক্তিগত কোনো সেঞ্চুরির। এবার ১৯তম ম্যাচে এসে দেখা মিলল জোড়া সেঞ্চুরির। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান বিরাট কোহলি। পরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে রান তাড়ায় শেষ বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তোলেন জশ বাটলার। এই লাইনটাই বলে দেয় জয়টা রাজস্থানের। কোহলি-বাটলারের সেঞ্চুরির লড়াইয়ে জয় বাটলারের রাজস্থানের। ৬ উইকেটের এই জয়ে আসরে নিজেদের শুরুর চার ম্যাচেই চারটিতেই জিতল তারা। এতে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সঞ্জু স্যামসনের দল। 

নিজের রেকর্ডে এগিয়ে আইপিএলে এখন সর্বোচ্চ আট সেঞ্চুরির মালিক কোহলি। যার মধ্যে বেঙ্গালুরুর সবশেষ সাত ম্যাচের তিনটিতেই সেঞ্চুরি তোলেন এই ডানহাতি তারকা ব্যাটার। এদিকে বাটলারও নেই খুব একটা পিছিয়ে। এটি তার আইপিএলের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। টুর্নামেন্টে নিজের শততম ম্যাচেই হাফ-ডজন সেঞ্চুরিতে পোঁছালেন তিনি। এতে সেই তালিকায় কোহলির পরেই নামটা বাটলারের। 

রাজস্থানের মাঠে এদিন টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে বেঙ্গালুরু। 

সেই লক্ষ্য় তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা না খুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ দারুণ ফর্মে থাকলেও আইপিএলে সেই ছন্দে কুড়ে বেড়াচ্ছেন এই বাঁহাতি তরুণ ব্যাটার। তবে সেই চাপ যে অনায়সেই ভুলে যায় রাজস্থান। কেননা দ্বিতীয় উইকেটে বাটলার ও স্যামসনের জুতিতেই আসে ১৪৮ রান। আর এতেই জয়ের রাস্তা হয়ে আসে সহজ। জুটির সমান দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় ফেরেন স্যামসন। রাজস্থানের এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। বাকি পথে একাই সামাল দেন বাটলার। 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। সেখানে বাটলারের  সেঞ্চুরির জন্য দরকার ঠিক ৬ রান। সেখানে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছিয়ে নিজের সেঞ্চুরিটাও তুলে নিলেন বাটলার। ৫ বল ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তোলে রাজস্থান। সেখানে বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেনে রিচ টপলি।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কোহলি ও ডু প্লেসির নৈপুণ্যে ম্যাচে শুরুর ফেবারেট ছিল বেঙ্গালুরুই। ওপেনিং জুটি থেকেই আসে ১২৫ রান। সেখানে ৪৪ রান করে ডু প্লেসি ফিরলেও কোহলি টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। মাঝের ব্যাটাররা তেমন কিছু যোগ করতে না পারলেও এক কোহলিতে ভর দিয়েই ভালো সংগ্রহে পৌঁছায় তারা। ১৮৩ রানের সংগ্রহে একা কোহলির রানই ১১৩। যেখানে ৭২ বলে খেলে এই ডানহাতি ব্যাটার মারেন ১২ চার ও ৪ ছক্কা। 

সম্পর্কিত খবর