যশ-ক্রুনালের বোলিং নৈপুণ্যে গুজরাটকে হারাল লক্ষ্ণৌ

যশ-ক্রুনালের বোলিং নৈপুণ্যে গুজরাটকে হারাল লক্ষ্ণৌ

লক্ষ্য ১৬৪ রানের। সেখানে ৫ ওভার ৫ বলে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তুলে ফেলে গুজরাট টাইটান্সের ওপেনাররা। হাতছানি দিচ্ছিল সহজ জয়েরই। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও যশ ঠাকুরের নৈপুণ্যে সেখান থেকে ৭ রানের মাথায় ফেরেন শুরুর ৪ ব্যাটার। সেই শুরু ব্যাটিং ধসের যা চলে শেষ পর্যন্ত। এতে আগের আসরের রানার্স-আপরা থামে ১৩০ রানেই। ৩৩ রানের জয় লক্ষ্ণৌয়ের। 

আসরটা হার দিয়ে শুরু করলেও পরের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতল লোকেশ রাহুলের দল। এদিকে গুজরাট হারল টানা দ্বিতীয় ম্যাচ। 

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের শুরু টসে দিয়েই। সেখানে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। পরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় তারা। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ দাপুটে পায় গুজরাট। সাই সুদর্শন ও শুভমান গিলের তাণ্ডবে ৫ ওভার ২ বলেই দলীয় সংগ্রহ পেরোয় ফিফটি, কোনো উইকেট না হারিয়েই। তবে সামনেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের খাদ তা আদতে যেন ভাবেই নি দলটি। ৫৪ থেকে ৬১, এই ৭ রান যোগ করতেই সাজঘরে ৪ চার, দলের গুরুত্বপূর্ণ চার। সেখানেই ট্র্যাক হারায় গুজরাট। যা শেষ পর্যন্ত আর খুঁজে পায়নি তারা। 

আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় আসরের তৃতীয় ম্যাচেই ফাইফারে স্বাদ পেলেন পেসার যশ। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। গুজরাটের পুরো ব্যাটিং অর্ডার লণ্ডভণ্ড করতে যশকে সঙ্গ দেন পান্ডিয়া। তিনি নেন তিন উইকেট। এতে ৭ বল বাকি থাকতেই ১৩০ রানে অলআউট গুজরাট। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ওপেনার সুদর্শন। 

এদিকে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের শুরু ছিল ধাক্কা দিয়েই। দলীয় ১৮ রানেই ফেরেন শুরুর ২ ব্যাটার। তবে মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে সেই চাপ অনেকটাই সামলে এগোন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। গড়েন ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। সেখানে রাহুল ৩৩ রানে ফিরলেও স্টয়নিস ফিফটি পেরিয়ে করেন ৫৮ রান। পরে আয়ুশ বাদোনির ২০ এবং নিকোলাস পুরানের অপরাজিত ৩২ রানে চড়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। 

গুজরাটের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও দর্শন নালকান্দে। 

এই জয়ে চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইকে ছাড়িয়ে তালিকার তিনে উঠে এলো লক্ষ্ণৌ। এদিকে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাটের অবস্থান সাতে। 

সম্পর্কিত খবর