শেষ ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া শিকার, অল্পেই থামল কলকাতা
আসরের কলকাতার শুরু তিন ম্যাচ মানেই ছিল ব্যাটিং ঝড়। তবে চিপকে এসে থামল সেই ঝড়ের গতি, মোটাদাগে অনেকটাই। মুস্তাফিজ, জাদেজা, তুষারদের বোলিং নৈপুণ্যে এদিন দেড়শও করতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
নিজের এর আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে বল হাতে বেশ খরুচে থাকলেও এদিন দারুণ ছন্দে ছিলেন মুস্তাফিজ। শুরু তিন ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও ছিলেন বেশ ইকোনমিকাল। সেখান দেন ২০ রান। পরে ইনিংস ও নিজের শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করেন ‘ফিজ’। দিয়েছেন স্রেফ ২ রান, নিয়েছেনও ২ উইকেট। এতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে মুস্তাফিজের উইকেট ওই ২টিই। ৪ ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নিয়ে আরও একবার পার্পল ক্যাপ গেল তার দখলেই।
চেন্নাইয়ের মাঠ চিপকে এদিন টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রাতের শিশির এখানে প্রভাব ফেলতে পারেনি এই বিবেচনায় চিপকে আগে বোলিংয়ের কাজটা সেরে রাখতে চেয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তা ভালোভাবেই সারল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সেখানে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের একদম প্রথম বলেই ধাক্কা খায় কলকাতা। তুষার দেশপান্ডের বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। তবে সেই চাপ অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা সুনীল নারাইন ও অংক্রিশ রঘুবংশী। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৫৬ রান তুলে ফেলেন তারা। এতে আরও একবার দুইশ ছাড়ানোর সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল দলটি।
তবে এগোল না জুটি, এগোল না দলের সংগ্রহও। সপ্তম ওভারে স্পিন ঘূর্ণিতে নারাইন ও অংক্রিশ দুজনকেই সাজঘরের রাস্তা মাপান জাদেজা। নিজের পরের ওভারে ভেঙ্কেটেশ আইয়ারকেও ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। সেই চাপ আর শেষ পর্যন্ত সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলার দলটি। শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। তবে শেষ ওভারেই প্রথম বলেই তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে শ্রেয়াসের ব্যাট থেকেই।
এদিকে মুস্তাফিজের দুই উইকেট ছাড়াও চেন্নাইয়ের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন তুষার ও জাদেজা।