ফিরলেন মুস্তাফিজ, জয়ে ফিরল চেন্নাইও

ফিরলেন মুস্তাফিজ, জয়ে ফিরল চেন্নাইও

বিশ্বকাপে ভিসার কাজে দেশে ফেরায় চেন্নাইয়ের আগে ম্যাচে খেলা হয়নি মুস্তাফিজের। সেই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসে কাছে ২০ রানে হারে চেন্নাই সুপার কিংস। ভিসার কাজ সম্পন্নের পর গতকালই ভারতে পৌঁছান মুস্তাফিজ। ফিরলেন তার দলের আজকের ম্যাচে। এবং শক্তিশালী কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুস্তাফিজের দল চেন্নাই পেল ৭ উইকেটের সহজ জয়। কলকাতার আগের তিন ম্যাচের ব্যাটিং ঝড় থামিয়ে তাদের ১৩৭ রানে আটকে অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন মুস্তাফিজ-জাদেজারাই। পরে অধিনায়ক রুতুরাজ, দুবেদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

এতে আসরে টানা দুই ম্যাচ হারের পর ফের জয়ের ধারায় ফিরল চেন্নাই। অন্যদিকে, টানা তিন ম্যাচের জয় দিয়ে শুরুর পর চতুর্থ ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখল কলকাতা। 

চেন্নাইয়ের মাঠ চিপকে দিনের একমাত্র এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় কলকাতা। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো পেলেও দ্রুতই ফেরেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। দলীয় ২৭ রানের মাথায় ফেরেন এই কিউই তরুণ ব্যাটার। পরে দ্বিতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। জয়টা অনেকেই নিশ্চিত হয় সেখানেই। সেখানে ২৫ রানে মিচেল ফেরার পর দুবে ফেরেন ২৮ রান করে। তবে ৫৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে ফিরিয়ে মাঠ ছাড়েন রুতুরাজ। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের একদম প্রথম বলেই ধাক্কা খায় কলকাতা। তুষার দেশপান্ডের বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। তবে সেই চাপ অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা সুনীল নারাইন ও অংক্রিশ রঘুবংশী। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৫৬ রান তুলে ফেলেন তারা। এতে আরও একবার দুইশ ছাড়ানোর সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল দলটি। 

তবে সপ্তম ওভারে স্পিন ঘূর্ণিতে নারাইন ও অংক্রিশ দুজনকেই সাজঘরের রাস্তা মাপান জাদেজা। নিজের পরের ওভারে ভেঙ্কেটেশ আইয়ারকেও ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। ভালো শুরুর পর ইনিংস মাঝের সেই চাপ আর শেষ পর্যন্ত সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলার দলটি। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে। 

এদিকে চেন্নাইয়ের পক্ষে দুটি উইকেট মুস্তাফিজ। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তুষার ও জাদেজা। কলকাতার টপ-মিডল অর্ডার একাই ধসিয়ে দেওয়া এই জাদেজা জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। এছাড়াও এদিন আইপিএলে ১০০ ক্যাচ নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার।

সম্পর্কিত খবর