টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারছেন না এবাদত
২০২৩ সালের জুলাইয়ের চোটে পড়ার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি হোম সিরিজ শেষ হয়েছিল টাইগার পেসার এবাদত হোসেনের। শুধু সেই সিরিজই নয়, অক্টোবরে ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপও মিস করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারার আক্ষেপটা হয়ত আজীবনই তাকে বয়ে বেড়াতে হবে।
ভারত বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তাদের এবং নিজেদের মাটিতেও সিরিজ খেললো বাংলাদেশ। চলতি বছরের শুরুতে লঙ্কানদের বিপক্ষেও পূর্ণ সিরিজ খেললো বাংলাদেশ দল। এই সিরিজগুলোতেও দর্শক হয়েই সময় কাটালেন এবাদত হোসেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএলেও তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। এখন সবশেষ কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা হিসেবে যোগ হলো চলতি বছর জুন মাসে হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এবাদতের খেলা হচ্ছে না। কারণ ইনজুরি থেকে এখনো মুক্তি পাননি এই টাইগার পেসার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এবাদতের ফিট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিশ্চিতভাবেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে চলা এই বিশ্বকাপও মিস করছেন।
অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ইনজুরির জন্য অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনে থাকা এবাদত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন, এমন আশায় ছিলেন। তবে তার সেই অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘায়িত হলো।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডাঃ দেবাশিস জানিয়েছেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ডানহাতি পেসারের কামব্যাক করার কোনও উপায় নেই। আট থেকে ১২ মাস সময় লাগবে তার। অন্তত অক্টোবরে তিনি ফিরতে পারবেন। সে একটু আগে কামব্যাক করতে পারে, তবে অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নয়।'
তবে ইনজুরিতে পড়া আরো দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলামের বিষয়ে সুখবর শুনিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক। তিনি বলেন, ইনজুরিতে পড়া সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলামকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগে পাওয়া যাবে বলে তারা আশাবাদী। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মে মাসে জিম্বাবুয়ে আসার কথা রয়েছে। এই সিরিজকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।