তিন সেঞ্চুরি ও আম্পায়ারিং বিতর্কের ম্যাচে আবাহনীর জয়
চলতি ডিপিএলে টানা ৯ ম্যাচে জয় তুলে ফুরফুরে মেজাজে ঈদের ছুটিতে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। ঈদের ছুটি কাটিয়ে আজই প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিল আকাশী-নীলরা। মিরপুরে এদিন তাদের প্রতিপক্ষও ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী তারকাবহুল দল প্রাইম ব্যাংক। সেই ম্যাচে উত্তাপও ছড়িয়েছে বেশ। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে আবাহনীই। ৩৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে জয় তুলেছে ৫৮ রানের। আর তাতেই ম্লান হয়ে গিয়েছে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি।
মিরপুরে এদিনও ব্যাট হাতে দারুণ শুরু পায় আবাহনী। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখে ভর করেই দলীয় শত রান পেরিয়ে যায় দলটি। এরপর ৭৩ বলে ৪৫ রান করে এনামুল সাজঘরে ফিরলেও লম্বা সময় উইকেটে ছিলেন নাঈম শেখ। মাঝে তার লেগ বিফোরের আপিল করা নিয়ে বেশ কিছু সময় বন্ধ ছিল খেলা। প্রাইম ব্যাংক আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে চাইছিল না। তবে শেষমেশ আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ফের মাঠে নামে তামিমের প্রাইম ব্যাংক। এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম। ১০৪ বলে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর সেঞ্চুরি তুলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ৮৫ বলে ১১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ৩৫ বলে ৬৫ রান করে দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়ে রেখে আসেন তাওহীদ হৃদয়। শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৪ উইকেটে ৩৪১ রানের শক্ত ভিত পায় আবাহনী।
বড় লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। দলীয় ১ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন তামিম ইকবাল। এরপর পারভেজ ইমন ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে দলকে টানেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারছিল না কেউই। মুশফিককে ফেরাতে না পেরে বাকিদের উইকেট তোলায় মন দেয় আবাহনীর বোলাররা। তাতে বেশ সফলও হয়েছে তারা। মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ১০৫ বলে ১১১ রানে। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট তুলেছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী ৩৪১/৪; (এনামুল ৪৫, নাঈম ১০৫, শান্ত ১১৮, তাওহীদ ৬৫*; হাসান ২/৭৬)
প্রাইম ব্যাংক: ২৮৩/১০; (ইমন ৫৬, মুশফিকুর ১১১, হাসান ৩৪; তাসকিন ৩/৪৬, তানজিম ৩/৪৪, মোসাদ্দেক ২/৫০)
ফল: আবাহনী ৫৮ রানে জয়ী।