রেকর্ডময় ম্যাচে দাপুটে জয় হায়দরাবাদের

রেকর্ডময় ম্যাচে দাপুটে জয় হায়দরাবাদের

আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের ঝলক দেখিয়েই চলছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুটা হয় আইপিএল ইতিহাসে বেঙ্গালুরুর দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙ্গার মাধ্যমে, যেটি ছিল ২৬৩। সেটিকে টপকে এক ইনিংসে ২৭৭ রান তুলে হায়দরাবাদ। তার কিছুদিন পরই গতকাল (সোমবার) বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচেই নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই টপকালো হায়দরাবাদ।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ২৮৬ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জিততে হলে রেকর্ড গড়েই জেতা লাগতো বেঙ্গালুরুর, নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যা করতে পারেনি তারা। ২৫ রানের পরাজয় হজম করে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ে যেয়ে যেন নিজেদের বিপদই ডেকে এনেছিল কোহলি-কার্তিকরা। ব্যাট হাতে তান্ডব শুরু করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। নবম ওভারে যেয়ে প্রথম অভিষেকের উইকেট শিকার করে বেঙ্গালুরু। কিন্তু ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে রান ছুঁয়ে ফেলেছে একশোর ঘর।

চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের নামে করে নিয়েছেন অজি হার্ড-হিটার ট্র্যাভিস হেড। চার-ছক্কার ঝড়ে ৩৯ বলেই তুলে নেন শতক। যদিও ৪১ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরত গিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে কি। রেকর্ড যা গড়ার তা তো গড়েছেনই।

উইকেটে এরপর হায়দরাবাদের আরও তিন ব্যাটার এসেছিলেন। হেনরিখ ক্লাসেনও এদিন বরাবরের মতোই ছিলেন অনবদ্য। ৩১ বলে ৬৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ইনিংস শেষে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন এইডেন মারক্রাম (১৭ বলে ৩২ রান) ও আব্দুল সামাদ (১০ বলে ৩৭)। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের নৈপুণ্যে এবং ব্যাটিং তান্ডবে ২৮৬ রানের অনবদ্য এই রেকর্ড গড়েছে তারা।

রেকর্ড পরিমাণ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার শুরুটা করেছিলেন বেশ ভালোই। বিরাট কোহলি করেছেন ২০ বলে ৪২ রান এবং অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস করেছেন ২৮ বলে ৬২ রান। তবে তারা সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারেনি বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার।

বাকিদের যাওয়া আসার মাঝে দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৮৩ রান এসেছে দিনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে। কিন্তু ম্যাচ জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। ফলস্বরূপ ২৫ রানে হেরেছে বেঙ্গালুরু। চলতি আসরে টানা পঞ্চম হারের পর পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে কোহলিরা।

সম্পর্কিত খবর