রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শেষ চারে বসুন্ধরা কিংস
১২ বারের দেখায় রহমতগঞ্জের কাছে কখনোই হারের ইতিহাস ছিল না বসুন্ধরা কিংসের। জয়টা তাই প্রত্যাশিতই ছিল তাদের। ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হতাশও করেনি। ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চলে গেছে এবারের মৌসুমের সেমিফাইনালে।
দুই দলের ১২ লড়াইয়ের সবকটিতে জয় বসুন্ধরার। তার ওপর শেষ চার লড়াইয়ে সব মিলিয়ে রহমতগঞ্জ হজম করেছে ১২ গোল, সবচেয়ে ভদ্রস্থ স্কোরলাইনটাও ২-০। আজও বসুন্ধরা একই ব্যবধানে হারাল রহমতগঞ্জকে।
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বসুন্ধরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে গোলের দেখাও পেয়ে যায় তারা। গোলটা আসে সোহেল রানার পা থেকে। রবসন রবিনিওর মাইনাস করা বলে বক্সের একটু বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো এক শট নেন সোহেল। তা রহমতগঞ্জ রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে গিয়ে জড়ায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের ঠিক শুরুতে টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে একটা সুযোগও এসেছিল। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে ফাঁকা জালেও বল জড়াতে পারেননি তিনি। তার হেডার চলে যায় লক্ষ্যের একটু বাইরে দিয়ে।
এর কিছু পরেই তার মাসুল গোণে রহমতগঞ্জ। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দিয়ে জড়ায় জালে। ম্যাচটা তাতেই চলে যায় রহমতগঞ্জের ধরাছোঁয়ার একেবারে বাইরে। বসুন্ধরা ২-০ গোলের জয় নিয়ে চলে যায় সেমিফাইনালে।
এর আগে মোহামেডান গেল ২ এপ্রিল শেখ রাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে চলে যায় সেমিতে। এবার বসুন্ধরাও চলল মোহামেডানের পিছুপিছু। যদিও শেষ চারে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের।
শেষ চারে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ হতে পারে আবাহনী। আগামী ৩০ এপ্রিল ফরটিস-আবাহনী ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নদের।