‘বাটলার ম্যাচ জেতাতে না পারলে অবাক হতাম’
কালের বিবর্তনে ক্রিকেট পাল্টেছে বহুবার। আগের ধীরগতির সংগ্রহ ছাপিয়ে রানের ঝড় যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। দুইশ পেরোনোর সংগ্রহ টি-টোয়েন্টি যেন এখন নিত্যদিনের ঘটনা। তবে এই দুইশ পেরিয়ে লক্ষ্য তাড়া এখনো সেই কঠিনের কাতারেই। তার ওপর শেষ ৬ ওভারে দরকার যখন একশ ছুঁইছুঁই রান, ৯৬। ওভার প্রতি ১৬। হাতে উইকেট কেবল চার। অর্থাৎ ম্যাচ লোয়ার অর্ডারদের হাতে। সেখানে একা টিকে ছিলেন ওপেনিংয়ে নামা জশ বাটলার। ২২৪ রানের পাহাড়সমান সেই লক্ষ্য়ে দলকে একাই যেন পৌঁছালেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ছিলেন ৬০ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের ১০২তম ম্যাচে এসে হাঁকালেন সপ্তম সেঞ্চুরি। যেই কীর্তি কেবলে এই ইংলিশ ব্যাটারের। এতো কিছুর পর সবাই যেন বাটলার-বন্দনায় মাতবে এটাই তো স্বাভাবিক।
ম্যাচের শেষে নিজ দল রাজস্থান রয়্যালসের সতীর্থরা তো আছেনই, বাটলারের এমন ইনিংসে তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন বিপক্ষ দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। এমনই সেই দলে ছিলেন কলকাতা ফ্রাঞ্চাইজির মালিক শাহরুখ খানও।
২২৪ রান তাড়া করে শেষ বল পর্যন্ত গড়ান ম্যাচে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে রাজস্থান। এদিকে এদিন ২২৪ রান তাড়ায় যৌথভাবে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পেল রাজস্থান। আগের রেকর্ডটিও তাদেরই। ২০২০ আসরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২২৪ রান তাড়ায় ৬ উইকেটে ২২৬ রান তুলেছিল দলটি।
বাটলারের এমন নান্দনিক ইনিংসের প্রশংসায় মেতেছেন তার নিজ দলের সতীর্থ বেন স্টোকসও। গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘এক্স’-এ এক পোস্টে স্টোকস লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে পাওয়েলের আউটের পর বাটলার যদি খেলাটা শেষ না করতে পারতো, তাহলে আরও বেশি অবাক হতাম। ও এতটাই ভালো, ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝার সামর্থ্য এবং খেলার আবেগ থেকে নিজেকে দূরে রাখার সামর্থ্য তাকে আলাদা করেছে।’