আফগানদের সুযোগ হারানোর আফসোস

আফগানদের সুযোগ হারানোর আফসোস

এবারের বিশ্বকাপে মাঝের ওভারগুলো বদলে দিচ্ছে খেলার রঙ। আজও সে মাঝের ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে রীতিমতো চেপে ধরেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু শেষমেশ সব চোখরাঙানি এড়িয়ে কিউইরা ঠিক পেয়ে গেছে চ্যালেঞ্জিং এক স্কোর, ৬ উইকেট খুইয়ে করেছে ২৮৮ রান। 

দিল্লিতে আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল আফগানিস্তান। তার পুনরাবৃত্তি চেন্নাইতেও হচ্ছে, এমনটা প্রথম ইনিংস শেষে জোর গলায় বলা যেত, যদি আফগানরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারত ঠিকঠাক। আজ একটা নয়, দুটো নয়, আফগানিস্তান ক্যাচ ফেলেছে ৪টা। রান আউটের সুযোগ হাত ফসকে গেছে দুবার, আর একবার নষ্ট হয়েছে স্টাম্পিংয়ের সুযোগও। এত কিছুর পরও নিউজিল্যান্ডকে ২৮৮ রানের বেশি করতে দেয়নি আফগানিস্তান, তাতে তো বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়!

শুরুর পাওয়ারপ্লেতে শুধু মাত্র কনওয়ের উইকেট তুলতে পেরেছে আফগানরা, তবে রানও দিয়েছিল মোটে ৪৩। পরের দশ ওভারে কোনো উইকেট নেই। তবে এরপরই আফগানিস্তান ম্যাচে ফেরে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের হাত ধরে। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ওভারে রশিদ খানও যখন তুলে নিলেন আরও একটা, তখন মনে হচ্ছিল এই বুঝি নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরল আফগানরা। 

সেটা হয়নি টম ল্যাথাম আর গ্লেন ফিলিপসের কারণে। পরের দশ ওভারে কোনোরকম সুযোগই দেননি আফগানিস্তানকে। তবে সুযোগ দিলেন স্লগ ওভারের একেবারে শুরুতে। তৃতীয় পাওয়ারপ্লের প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ল্যাথাম, মুজিব তা ধরতে পারেননি। এক ওভার পর আবারও ল্যাথামকে সঙ্গ দিল তার ভাগ্য, এবারও দুর্ভাগা বোলারের নাম রশিদ; এবার ক্যাচটা ফেললেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ। ৩৫ আর ৪০ রানে জীবন পাওয়া ল্যাথাম শেষমেশ থামেন ৬৮ রান করে, সঙ্গী গ্লেন ফিলিপস করেন ৭০। তাদের এই জুটি শেষে মার্ক চ্যাপম্যান ১২ বলে খেলেন ২৫ রানের ঝোড়ো এক ক্যামিও। তাতে চড়েই নিউজিল্যান্ড পেয়ে যায় ২৮৮ রানের লড়াকু পুঁজি।

ম্যাচটা জিততে হলে এখন আফগানদের ইতিহাসই গড়তে হবে। নিজেদের ইতিহাসে কখনো এত বেশি রান তাড়া করে জেতেনি আফগানিস্তান। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামও দেখেনি এত বড় রান তাড়া করে কোনো দলের জয়। এমনকি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডও যে এত রান স্কোরবোর্ডে জমা করে কখনো হারেনি। আফগানরা যদি এত কিছুর পরও জেতে, তখন এসব ইতিহাস লেখা হবে নতুন করে। 

সম্পর্কিত খবর