মেসির বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন পাপন
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসছে, গেল বছরের জানুয়ারিতে এমন একটা খবরে পুরো দেশই নড়েচড়ে বসেছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল পরদিন। তবে এক দিন পরই তা বাতিল করে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এরপর অবশ্য দেশের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের পা পড়েছে। গেল বছর জুনে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এসেছিলেন ঝটিকা সফরে। এবার লিওনেল মেসিরও বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা জেগেছে। এ নিয়ে কথা বলেছেন খোদ বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। আজ বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পাপনের এই সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সঙ্গে ছিলেন ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও। তার হাত ধরেই গেল বছর এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আর তারপর রোনালদিনিও এসেছিলেন ঢাকায়।
এবার তিনিই ইঙ্গিত দিলেন আগামী বছর মেসির বাংলাদেশে আসার। শতদ্রু বলেন, ‘মার্টিনেজ, রোনালদিনহো এসেছে। ডি মারিয়াও আসবে। সামনে আরও বড় কেউ বাংলাদেশে আসতে পারে।’
এরপর পাপনও কথা বললেন একই সুরে, ‘তারা বলেছে, যেহেতু অন্যরা আসছে মেসিও আসতে পারে। তবে অনেক বিষয় থাকে এখানে।’
আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সি সেসার সঙ্গে পাপনের এই সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য অবশ্য এটা ছিল না। ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খেলাধুলার দিকটা উন্নতি করা। সে প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে ক্রিকেটের সহযোগিতা চেয়েছে। আমি তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছি কিউরেটর থেকে শুরু করে যা প্রয়োজন আমরা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমাদের ক্রিকেটাররাও সেখানে গিয়ে খেলবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি তারা কাবাডি নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় খেলায় তারা একবার অংশ নিয়েছিল। আমরা কাবাডিতেও তাদের সহায়তা করতে পারি।’
বদলে বাংলাদেশ চেয়েছে আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ফুটবল ও হকিতে সহায়তা। ফুটবলে তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। হকিতেও বেশ বড় এক নাম আর্জেন্টিনা। সে সূত্রে এই দুই খেলায় আকাশী সাদাদের সাহায্য চাইলেন পাপন। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অনেক ঐতিহ্য তাদের। আমরা তাদের কাছ থেকে কোচ নিতে পারি আবার আমাদের ছেলে-মেয়েরা ওখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। হকিতে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে আবার তারাও হকিতে বিশ্ব মানের। হকি নিয়ে তাদেরও আগ্রহ আছে। আমরা তাদের কি দিতে পারি, আবার তাদের কে আমরা কি দিতে পারি। এ রকম একটা ডিটেইলস একে অন্যকে দেব। এরপর মূলত কাজ শুরু হবে।’
আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত মারসেলো সি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,‘ সমঝোতা স্বাক্ষরের পর এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। অবশ্যই ফুটবল সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া আমরা ক্রিকেট ও হকিতে এগুতে চাই সেটাও জানিয়েছি। ’ এক বছর আগে সমঝোতা স্বাক্ষর হলেও তেমন কার্যকরি পদক্ষেপ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন,‘ আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশ দুই দিকেই নির্বাচন ছিল। আমরা এখন দুই দেশ ক্রীড়ার মাধ্যমে আরো কাছাকাছি আসতে চাই।’