বুমরাহকে সুইপে ছক্কা, আশুতোষকে চেনেন তো?

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ০৩:৪৬ পিএম | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘এযাবৎ বুমরাহর বলে এমন সুইপ শট আমি কাউকেই খেলতে দেখিনি।’ আশুতোষের ২৮ বলে ৬১ রানের টর্নেডোর পর ম্যাচশেষে জহির খানের মুখে প্রশংসা ঝরে পড়েছে এভাবেই৷

আইপিএল শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র ১৪ ইনিংসের অভিজ্ঞতা দিয়েই আসর শুরু করেছিলেন। স্ট্রাইকরেটও ছিলো প্রায় দুইশো। ফিফটি ছিলো চারটা। একটা ফিফটি আবার মাত্র ১১ বলে। যা আবার ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম।

গতকালকের গল্পটা শুনুন। ১৯৩ এর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানে নেই চার উইকেট। ৭৭ রান তুলতে হাওয়া ছয় ব্যাটার। যেখানে দল খাদের কিনারায়, সেখান থেকেই লড়লেন, দলকে জয়ের আশা দেখালেন। শুরুটা করেছিলেন যশপ্রীত বুমরাহকে সুইপ করে ছক্কা মেরে। এরপর মারলেন আরও ৬টা ছয়। ম্যাচ প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিলেন। তীরে এসে তরী ডোবা পাঞ্জাব হারলো নয় রানে। পুরো ক্রেডিট ওই একজনেরই।

২৩ বলে ফিফটি। আউট হয়ে ফেরার পথে ২৮ বলে ৬১। নামের পাশে সাত ছক্কা আর দুই চার। এমন ইনিংসের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার বানে ভাসছেন এই মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেওয়া পাঞ্জাবে কিংসের এই ব্যাটার।

শুধু এই ম্যাচই নয়। আইপিএলে ব্যাট হাতে চার ইনিংসে সুযোগ পেয়ে চারটাতেই রীতিমতো ঝলক দেখিয়েছেন এই হার্ডহিটার। গুজরাটের বিপক্ষে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ১৭ বলে ৩১ করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন।

সানরাইজার্সের বিপক্ষে আটে নেমে খেলেন ১৫ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস। ওপরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দল ম্যাচ মাত্র দুই রানে। তবে নিজের সেরাটা দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন আশুতোষ।

রাজস্থানের রয়্যালসের বিপক্ষেও নামেন আটে। ওপরের সারির ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তার ১৬ বলে ৩১ রানের ক্যামিওতে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় দল। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে একই পজিশনে ২৮ বলে ৬১।

ইমপ্যাক্ট ব্যাটার হিসেবে নেমেছেন দুটোয়। আর দুটোয় শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন। বোলিং করানো হচ্ছে না তবুও ব্যাটিং করছেন একদম নিচের দিকে। ব্যাটিং পজিশনে প্রমোশন পেলে নিশ্চয়ই দিনশেষে লাভটা পাঞ্জাবেরই হতো।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :