শেষ মুহূর্তের গোলে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের 'ক্লাসিক' জয়
স্প্যানিশ লা লিগায় আসরের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো। তর্ক সাপেক্ষে এই এল ক্লাসিকো ফুটবল জগতের সবচেয়ে উত্তেজনাকর লড়াই। গত রাতের ম্যাচটি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হলেও রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সমানে সমান লড়েছে বার্সেলোনা। পরিসংখ্যান ঘেঁটে মিলে, বল দখল, শট, সবে এগিয়ে আবার কাতালান ক্লাবটিই। আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ, গোল-লাইন বিতর্ক সব ছাপিয়ে ম্যাচের মূল ৯০ মিনিট পর্যন্তও ম্যাচ ছিল ২-২ ড্র। এতে পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই ম্যাচ শেষের দিকে এগোচ্ছিল দুই দল। তবে ম্যাচটি এল ক্লাসিকো বলে কথা। নাটকীয়তা যেন থাকবেই। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বার্সার রক্ষণ ভেদ করে গোল করে বসলেন জুড বেলিংহাম। তাতেই গড়ে গেল ব্যবধান। শেষ মুহূর্তের এই গোলে ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে জিতল কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই জয়ে শিরোপা জয়ের আরও কাছে চলে গেল রিয়াল। ৩২ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ৮১, যা দুইয়ে থাকা বার্সার চেয়ে ১১ বেশি। এদিকে এই জয়ের মধ্যে দিয়ে আসরের তিনটি এল ক্লাসিকোর প্রত্যেকটিই জিতল রিয়াল।
গত রাতের ম্যাচটিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শুরু ষষ্ঠ মিনিটেই। আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় বার্সা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার নেওয়া কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছান ডেনমার্ক ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন।
সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলো না জাভি হার্নান্দেজের দল। ১৮তম মিনিটে লুকাস ভাসকেসকে ডি-বক্সে ফাউল করে বসেন জোয়াও কানসেলো। এতে পেনাল্টি পায় রিয়াল। সেখানে সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস জুনিয়র। মিনিট দশেক পরেই ম্যাচে আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে বার্সার সামনে। রাফিনিয়ার ক্রসে থেকে পাওয়া বলে লামিনে ইয়ামালের দেওয়া হালকা টোকা কোনোমতে সামলান রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। তবে সেখানে বার্সার দাবী, বল পেরিয়েছে গোল-লাইন। একাধিকবার ভিএআর রিপ্লে দেখে শেষ পর্যন্ত ফলাফল রিয়ালের পক্ষে, বল পেরোয়নি গোল-লাইন।
১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় সফরকারীরা। সেখানে আরও একবার ইয়ামালের শট ঠেকিয়ে দেন লুনিন। তবে ফিরতি বল পেয়ে ফেরমিস লোপেস তা জড়ান জালে। এবার আরও কম সময় লিড ধরে রাখল বার্সা, স্রেফ ৪ মিনিট। ভিনিসিউসের বাড়িয়ে দেওয়া বলে দারুণ এক ভলিতে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছান ভাসকেস।
চলতি আসরেই রিয়ালে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন বেলিংহাম। আসরের মাঝ পর্যন্ত প্রায় প্রতি ম্যাচে পেয়েছেন গোলে দেখা। তবে হঠাৎ দেখা মেলে সেই ছন্দের পতনের। তবে দুই মাস পর কাটল সেই গোল খরা। যোগ করা সময়ে ৯০+১ মিনিটেই এই ইংলিশ তরুণ মিডফিল্ডারের গোলেই জয়ের উল্লাসে মাতল বার্নাব্যু। লম্বা সময় পর গোল করেও ১৭ গোল নিয়ে রিয়ালের হয়ে আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোল বেলিংহামেরই।