শচীন-রুতরাজের পর ইতিহাসের পাতায় তিলক
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে তিলক ভার্মার ৪৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস দলকে জয় এনে দিতে পারেনি। তবে তাকে তুলে দিয়েছে রেকর্ড বইয়ে। এই ইনিংস দিয়ে তিনি ঢুকে গেছেন আইপিএলের হাজারি ক্লাবে৷
আইপিএলে চার অঙ্কের রান তুলে নিতে তিলকের লেগেছে ৩৩ ইনিংস৷ এই ৩৩ ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন আট ইনিংস৷ ব্যাট করেছেন ৪০.৫২ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৩৯। ফিফটি করেছেন পাঁচটা। সবগুলো ইনিংসই মুম্বাইয়ের হয়ে।
৩৩ ইনিংসে তিলকের এক হাজার রান ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। যদিও তিনি এই তালিকায় অবস্থান করছেন তিনি। শীর্ষস্থান দখল করে আছেন দুজন।
ইন্ডিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এক হাজারি ক্লাবে ঢুকতে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। মাস্টার ব্লাস্টারের লেগেছিল ৩১ ইনিংস৷ তিনিও এই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন ২০১০ সালে, রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ২০১০ সালে জয়পুরে ৮৯ রানের ইনিংস খেলার দিনে ৩১ ইনিংসে, শচীন স্পর্শ করেন এক হাজার রানের মাইলফলক। তার আগে তার সবগুলো ইনিংসই তিনি খেলেছেন মুম্বাইয়ের হয়ে৷
২০২২ সালে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৯৯ রানের ইনিংস খেলার দিনে শচীনের রেকর্ডে ভাগ বসান চেন্নাইয়ের ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তারও লেগেছে সমান ৩১ ইনিংস৷ তারও সবগুলো ইনিংস ছিল একই দলের হয়ে, তার এই রেকর্ডটা গড়া চেন্নাইয়ের হয়ে।
তিলক ভার্মা আছেন এরপরই। তার ঠিক নিচে আছেন আরেক কিংবদন্তি। চারে আছেন চেন্নাই সুপার কিংস কিংবদন্তি সুরেশ রায়না। ২০১০ সালে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৮৩ রানের ইনিংস খেলার দিন পূর্ণ করেন এক হাজার আইপিএল রান। লেগেছে ৩৪ ইনিংস৷
রায়নার সমান ৩৪ ইনিংস লেগেছে রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়ালেরও। ২০২৩ সালে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে ৩৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ঢুকে পড়েন হাজারি ক্লাবে।