মুস্তাফিজের খরুচে শেষ ওভারে 'শ্যাষ' চেন্নাই

মুস্তাফিজের খরুচে শেষ ওভারে 'শ্যাষ' চেন্নাই

চিপকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের সামনে চেন্নাই সুপার কিংসের দাঁড় করানো ২১১ রানের লক্ষ্যটি বিশালের কাতারেই ছিল। বল হাতে মুস্তাফিজ-দীপকরা শুরুটা করেছিল বেশ ভালো। তবে শেষে এসে খেই হারানো বোলিংয়ে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে আবারও হারল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আসরে এর আগের ম্যাচটিও ছিল লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে। তাদের মাঠে চেন্নাইয়ের দেওয়া ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে যায় লোকেশ রাহুলের দল। সেখানে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর দিন চারেক পর আরও একবার একই তকমা জুটল মুস্তাফিজের নামে। শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের দরকার যখন ১৭ রান, তখন তা স্রেফ ৩ বলেই দিয়ে বসেন এই বাঁহাতি পেসার। ম্যাচে ৩ ওভার ৩ বল করে দেন ৫১ রান, উইকেট একটি। শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে মার্কাস স্টয়নিসের হার না মানা ৬৩ বলে অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংসে চড়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পায় লক্ষ্ণৌ।

চেন্নাইয়ের মাঠে এর আগে এতো রান তাড়া করে জেতেনি কেউ। এতে রেকর্ড গড়েই জিতল লোকেশ রাহুলের দল। 

গতকাল দিনের একমাত্র ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌ জয়ের শুরু সেই টস থেকেই। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে রুতুরাজ-দুবের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৪ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল পুঁজি পায় চেন্নাই।

লক্ষ্যটা আরও বেশি কঠিন হলো যখন দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ফিরলেন লক্ষ্ণৌয়ের দুই তারকা ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। ইনিংসের একদম শুরুর ওভারে ডি কককে বোল্ড করে ফেরান দিপক চাহার এবং দলীয় পঞ্চম ও নিজের প্রথম ওভারে এসে রাহুলকে সাজঘরের রাস্তা মাপান মুস্তাফিজ।

তবে দেবদূত পাডিকালকে নিয়ে সেই চাপ অনায়াসেই সামলে নেন স্টয়নিস। একাদশ ওভারের শেষ বলে পাডিকাল ফিরলেও তাণ্ডব জারি রাখেন স্টয়নিস। পরে পুরানের সঙ্গে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন এই অজি ব্যাটার।

এদিকে শুরুটা ঝোড়ো পেলেও ১৫ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান পুরান। জয়ের জন্য তখনো ২১ বলে ৫৩ রানের কঠিন সমীকরণ। তবে স্টয়নিসের কাছে যেন তা মামুলি। ৫৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে শেষ ওভারে কঠিন সেই সমীকরণ স্রেফ ৩ বলেই মিলিয়ে দেন তিনি। ৬৩ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ছিলেন ১২৪ রানে অপরাজিত। চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মাথিশা পাথিরানা।

এর আগে ব্যাট করতে নামা চেন্নাইও ধাক্কা খায় একদম শুরুর ওভারেই। সেখানে আজিঙ্কা রাহানের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তবে অধিনায়ক রুতুরাজের 'ক্যাপ্টেনস নক'-এ ছন্দেই এগোতে থাকে চেন্নাই। ড্যারিল মিচেল, রবীন্দ্র জাদেজারা দ্রুত ফিরলেও রুতুরাজকে যোগ্য সঙ্গ দেন শিবম দুবে। চতুর্থ উইকেটে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে নিয়ে স্রেফ ৪৫ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন রুতুরাজ। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন চেন্নাইয়ের এই অধিনায়ক। এদিকে ২৭ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন দুবে।

তবে ব্যাটাররা দারুণ পারফর্ম করলেও আরও একবার ব্যর্থ চেন্নাইয়ের বোলাররা। এতেই লক্ষ্ণৌয়ের কাছে টানা দুই ম্যাচেই হারল তারা।

সম্পর্কিত খবর