লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে হেরে যা বললেন চেন্নাই অধিনায়ক

লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে হেরে যা বললেন চেন্নাই অধিনায়ক

নিজেদের মাঠে ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যেই থাকার কথা ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। বোলারদের সুবিধা খ্যাত এই চিপকে এর আগে এতো রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। তবে এবার সেই কীর্তিই গড়ে দেখাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। দলটির তারকা ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিসের ১২৪ রানের অপরাজিত নান্দনিক ইনিংসে ৩ বল হাতে রেখেই রেকর্ড গড়েই ৬ উইকেটের জয় পায় তারা।

চেন্নাইয়ের এই হারে দোষটা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বোলারদের, বিশেষ করে পেসারদের। দলের পাঁচ পেসারের তিনজনই (শার্দূল ঠাকুর, তুষার দেশপান্ডে, মুস্তাফিজুর রহমান) রান দিয়েছে ওভার প্রতি ১০-এর বেশি গড়ে। এর মধ্যে মুস্তাফিজ ৩ ওভার ৩ বলে ৫১ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজ। তবে ম্যাচ শেষে হারের পুরো দায় বোলারদের ওপর চাপালেন না চেন্নাই কাপ্তান রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তার মতে, মাঠে অতিরিক্ত শিশিরে বোলারদের অসুবিধা হয়েছে।

ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা ছিলেন দারুণ ফর্মে। কাপ্তান রুতুরাজ খেলেছেন ১০৮ রানে অপরাজিত এক ইনিংস। সঙ্গে দুবে করেছেন ৬৬ রান। তবে বোলারদের খেই হারানো পারফর্মে ম্যাচের শুরুর ৩০ ওভার নিয়ন্ত্রণে থাকেলও শেষ ১০ ওভারেই হেরেছে চেন্নাই। শেষ ১০ ওভারে ১২৮ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌয়ের। সেটিও শেষ পর্যন্ত তুলে ফেলে দফ্লতি।

ম্যাচ শেষে অফিশিয়াল সম্প্রচারে রুতুরাজ বলেন, 'শিশির অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আমার মতে, অনেক বেশি শিশির ছিল। যা স্পিনারদের বিপক্ষে কাজ করেছে। শিশির এতটা না থাকলে মিডল ওভারে খেলাটা মিডল ওভারে খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ রেখে আমরা ম্যাচটিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম।'

টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হার। পরের চার ম্যাচের চেন্নাইয়ের হার-জিতের চিত্র একই, দুই ম্যাচ জয় পরের দুই ম্যাচে হার। আট ম্যাচে তাই চেন্নাইয়ের পয়েন্ট ৮, নেমে গেছে তালিকার পাঁচে। তবে তাতে এখনো শঙ্কার কিছু দেখছেন না রুতুরাজ। আসরে এখনো অনেকটা পথ বাকি। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের এই কাপ্তান।

সম্পর্কিত খবর