শচীনকে সেঞ্চুরি করতে না দেওয়া আজও পোড়ায় কার্তিককে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সংখ্যাটা রেকর্ড ১০০। তার এই সংখ্যাটা বাড়তে পারত আরও অন্তত ২৭টি। তবে নার্ভাস নাইন্টিতে কাটা পড়ে হয়নি সেটি। আর এই ২৭টি নার্ভাস নাইন্টির মধ্যে মাত্র ১ বারই আউট হননি শচীন। তবুও মিস করেছেন সেঞ্চুরি। সেই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। আর এই সেঞ্চুরিটি শচীনকে মিস করতে হয়েছে দীনেশ কার্তিকের জন্য। যা আজও পোড়ায় কার্তিককে। কিংবদন্তির ৫১ তম জন্মদিনে শচীনকে নিয়ে এমন কথায় শুনিয়েছেন কার্তিক।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল ভারত। ম্যাচে কার্তিককে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শচীন। তিনি নিজেও আছেন সেঞ্চুরির পথে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে শচীন। জয়ের জন্য ভারতেরও চায় সমান ৪ রান। ভারতের হাতে তখনও ৮ ওভার হাতে আছে। শচীন খুব সহজেই সেঞ্চুরি পেতে পারতেন। তবে সেটি হয়নি কার্তিক ছক্কা মেরে দেওয়ায়। নিজের এমন ভুল আজও পোড়ায় কার্তিককে। যা দীর্ঘদিন পর আরও একবার মনে করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তবে কার্তিক এখনও রোমাঞ্চিত হন শচীনের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হওয়ার দিনের কথা মনে করে। কার্তিকের তখনও ভারতের হয়ে অভিষেক হয়নি। অন্যদিকে শচীন ভারত তথা গোটা বিশ্ব ক্রিকেটেরই মহা তারকা। আর সেই তারকার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতিচারণ করে কার্তিক বলেন, ‘শচীনের সঙ্গে আমার ভালো ও খারাব উভয় স্মৃতিয় রয়েছে। ভাল স্মৃতি হলো, তার সাথে আমার প্রথমবার যখন দেখা হয় সেটি ছিল একটি ফ্লাইওভারের উপরে। আমরা একটি বাসে করে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলাম এবং পরে সে তার গাড়িতে করে মাঝপথে আমাদের বাসে উঠে। আমি আমার জীবনে এই প্রথম মানুষটিকে দেখলাম। যা আমার কাছে একটি দুর্দান্ত স্মৃতি।’
এরপর খারাপ স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে কার্তিক বলেন, ‘খারাপ স্মৃতিটি হলো শচীনের ৯৬, নট আউট। জয়ের জন্য আমাদের চার রান দরকার, আর আমি একটি ছক্কা মারলাম। সে সেঞ্চুরি পেল না। আজ অবধি, আমি এটার জন্য অনেক দুঃখ পাই।’