দুই তামিমে কি আশ্চর্য মিল!
দুজনের মধ্যে অনেককিছুতেই মিল।
নামে মিল। দুজনে ব্যাটিংয়ে ও বাঁহাতি। ইনিংস ওপেন করেন। খেলার স্টাইলও প্রায় একই রকম। অনেকেই তাই তানজিদ হাসান তামিমকে ডাকেন তামিম জুনিয়র বলে!
এতসব মিলের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিলটা দেখা গেল দুজনের ক্যারিয়ারের শুরুর অংশেও। তামিম ইকবাল ওয়ানডেতে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের মাঠেই। সময়টা ছিল ২০০৭ সাল। পোর্ট অব স্পেনে তামিমের সেই হাফ সেঞ্চুরি এসেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে তামিম সেই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৫৩ বলে খেলেছিলেন ৫১ রানের দারুণ কার্যকরী ইনিংস। ভারতীয় পেসার জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে তামিম দাপুটে ভঙ্গিতে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
২০০৭ এর মার্চের পোর্ট অব স্পেনের সেই তামিম ইকবালকে যেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে পুনেতে ফিরিয়ে আনলেন তানজিদ হাসান তামিম। সিনিয়র তামিমের মতো ওয়ানডেতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেলেন তানজিদ সেই বিশ্বকাপের মাঠেই। সেই একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কি আশ্চর্যেও বিষয় দুজনের পাওয়া সেই রানের হিসেবটাও পুরোপুরি এক।
তামিম ইকবাল ৫৩ বলে করেছিলেন ৫১ রান। ১৭ বছর পর একই টুর্নামেন্টে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তানজিদ হাসান তামিমও করলেন ঠিক ৫১ রান। অবশ্য বল কয়েকটা কম খেললেন। ৪৩ বলে তানজিদ হাসান তামিমের ৫১ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ৫টি ছক্কা ৩টি।
এই ম্যাচের আগে তানজিদ তার ৮ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৫৬ রান। এই ম্যাচগুলোতে কোনোটিতেই তিনি টিকতে পারেননি। খেলেছিলেন সবমিলিয়ে ৬৩ বল। সেই সময় তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসই ছিল মাত্র ১৬ রানের।
তামিম ইকবালও তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ম্যাচ সাকুল্যে করেছিলেন ৫৭ রান। পঞ্চম ম্যাচ এসে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান। যেটি ছিল বিশ্বকাপে তার প্রথম ম্যাচ।
এই বিশ্বকাপে তানজিদ হাসান তামিম খেলছেনও মুলত তামিম ইকবালের শূন্যস্থানে। এই ইনিংস দেখে তামিম ইকবাল নিশ্চয়ই জুনিয়র তামিমের জন্য ডিজিটাল অভিনন্দন পত্র তৈরি করছেন?