শান্তর সেঞ্চুরির পর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শিরোপার দুয়ারে আবাহনী 

শান্তর সেঞ্চুরির পর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শিরোপার দুয়ারে আবাহনী 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগেও যেন চলছে আবাহনীর একচেটিয়া আধিপত্য। প্রথম পর্বে অপরাজিত যাত্রা শেষের পর সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জয় পায় আকাশী-হলুদের দলটি। এবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষেও হেসেখেলেই জিতল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৭১ রানের বিশাল এই জয়ে টানা দুই আসরেই শিরোপার আরও কাছে পৌঁছালো আবাহনী।  

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি ও বিজয়-হৃদয়দের ফিফটি পেরোনো ইনিংসে চড়ে ৩৪৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় আবাহনী। লক্ষ্য তাড়ায় আবাহনীর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব আলী স্টেডিয়ামে বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুর ওভারেই ধাক্কা খায় গাজী ক্রিকেটার্স। দলটির অধিনায়ক আনিসুল ইসলামকে বোল্ড করে ফেরান খালেদ আহমেদ। পরে মিডল অর্ডারে হাবিবুর রহমান ও সাব্বির হোসেন শিকদারের আশা জাগানিয়া ইনিংস ছাপিয়ে বাকি ব্যাটাররা ছিলেন পুরোদস্তুর ব্যর্থ। এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৫ ওভার ১ বলে ১৭২ রানেই থামে তারা। অর্থাৎ, আবাহনীর দেওয়া টার্গেটের প্রায় অর্ধেক। সেখানে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির। 

আবাহনীর পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন রাকিবুল ইসলাম, দুটি করে নেন তানজিম হোসেন সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। 

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সমান ৩৩ রান করে ফেরেন দুই ওপেনার নাইম শেখ ও লিটন দাস। স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ৬৯ রান। সেখানে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ১৩০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন শান্ত। বিজয় ৬৮ রানে ফিরলেন শান্ত ফেরেন সেঞ্চুরি তুলে। ৮৪ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে আবাহনীর এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে। জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও।  

পরে তাওহীদ হৃদয়ের ৫৮ এবং সৈকতের ৩৩ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রানের বড় পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

আবাহনী: ৩৪৩/৫ (৫০ ওভার) (শান্ত ১০১, বিজয় ৬৮, হৃদয় ৫৮; জীবন ২/৫০, রায়হান ১/৪১)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ১৭২ (৩৫.১ ওভার) (সাব্বির ৬২, হাবিবুর ৩৮; রাকিবুল ৪/৪৪, সৈকত ২/৩৪)

ফলাফল: আবাহনী ১৭১ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত  

 

সম্পর্কিত খবর