শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপার আশা শেষ শাইনপুকুরের 

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপার আশা শেষ শাইনপুকুরের 

আবাহনী যখন নিজেদের দাপট দেখিয়ে এগিয়ে চলছিল তখন শিরোপার ক্ষীণ স্বপ্ন বুনছিল তালিকার দুইয়ে থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। তবে দিনের আরেক ম্যাচে আবাহনী যখন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল তখন শাইনপুকুরল হারল শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে। ৭ উইকেটের বড় এই হারে শিরোপার দৌড় থেকে পুরোপুরিই ছিটকে গেল শাইনপুকুর। 

সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৩৮ রানের স্বল্প পুঁজিতেও বোলারদের নৈপুণ্যে জয় পেয়েছিল শাইনপুকুর। তবে এই ম্যাচে বোলাররা ছিলেন কোণঠাসা হয়েই। 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর। সেখানে শুরুটা বিধ্বংসী হলেও মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় ৪৬ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আকবর আলীর দল। 

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ধাক্কা দিয়ে হলেও দ্রুতই সামলে নেয় শেখ জামাল। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বিকে নিয়ে ১১১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন সাইফ হাসান। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় এই ডানহাতি ব্যাটার ব্যক্তিগত ৬৭ রান করে ফিরলেও ফজলে রাব্বি ছিলেন শেষ পর্যন্ত টিকে। তুলেছেন সেঞ্চুরিও। ১১৯ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেছন দলীয় সর্বোচ্চ ১০১ রান। জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও। এদিকে ইয়াসির আলী অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে। এতে ২২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দল।  

এদিকে শুরুতে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুরের দুই ওপেনার জিশান আলম ও তানজিদ হাসান তামিমের তাণ্ডবে একসময় মনে হচ্ছিল অনায়সেই সংগ্রহ যাবে ৪০০-পেরিয়ে। স্রেফ ১২ ওভার ২ বলে ১২৩ রান তোলেন এই দুই ওপেনার। সেখানে ৩৯ রান করে তামিম ফিরলেও জিশান জারি রাখেন তাণ্ডব। ১৭ ওভারেও ২ উইকেট হারিয়ে শাইনপুলুরে স্কোরবোর্ডে ছিল ১৪৯ রান। 

এরপরই শুরু হয় ব্যাটিং ধস। দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় সেঞ্চুরির ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন জিশান। ৬১ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় করেন ৯৮ রান। পরে ৬৪ রান করা অধিনায়ক আকবর আলী কিছুটা লড়াই চালালেও বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যেই। সেখানে ২৬৪ রানে পুঁজি নিয়েই ইনিংস শেষ করতে হয় শাইনপুকুরকে। 

শেখ জামালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তৈবুর রহমান। দুটি করে উইকেট পান জিয়াউর, রবিউল ও সোহাগ। 

এই হারে প্রথম পর্ব ও সুপার লিগের দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে শাইনপুকুরের মোট পয়েন্ট দাঁড়াল ১৮। এদিকে ১৩ ম্যাচের ১৩টিতেই জেতা আবাহনীর পয়েন্ট ২৬। এতে সুপার লিগের বাকি তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেলেও আবাহনীকে ছাড়াতে পারবে না শাইনপুকুর। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ২৬৪ (৪৬.১ ওভার) (জিশান ৯৮, আকবর ৬৪, তানজিদ ৩৯; তৈবুর ৩/৩৮, জিয়াউর ২/১৬)

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ২৬৫/৩ (৪৬.২ ওভার) (ফজলে ১০১*, সাইফ ৬৭, ইয়াসির ৪০*; মুরাদ ১/৩১)

ফলাফল: শেখ জামাল ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: ফজলে রাব্বি 

সম্পর্কিত খবর