দারুণ শুরুর পরও ২৫৬ তে আটকা বাংলাদেশ
শুরুটা যেমন হয়েছিল, এর চেয়ে ভালো কিছুই আর বুঝি চাইতে পারত না বাংলাদেশ। অন্তত শেষ কিছু দিনের বাস্তবতায় তো বটেই। সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই রান, তাও ছয়ের বেশি রান রেটে। তখন কে ভেবেছিল ইনিংস শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে উঠবে কেবল ২৫৬ রান! ম্যাচে হলো তাই। ৮ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ তুলল ২৫৬ রান।
তানজিদ তামিম আর লিটন দাসের জুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ফল দিলেও মূল মঞ্চে এসে ব্যর্থ হচ্ছিল। তিন ম্যাচের একটিতে শূন্য, অন্য দুটোতে বিশও পেরোয়নি এ জুটি। ইংল্যান্ড ম্যাচে লিটনের ইনিংস বাদ দিলে বাকি সব ম্যাচে দুই ওপেনার ফ্লপ। সে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে আজ দুজন ফিরেছিলেন স্বরূপে।
তাতে ভাঙল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড। তামিম পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা। তবে ফিরলেন এরপরই। সেঞ্চুরির সাত রান দূরে বাংলাদেশ খোয়াল প্রথম উইকেট।
এরপর বাংলাদেশের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার শুরু। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগে, চারে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও তাই। এরপর লিটনও ফিরলেন ফিফটির পর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে।
তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর রহিম দলের হাল ধরেন এরপর। যদিও স্ট্রাইক রেট ছিল অনেক কম, তবু তাদের ৪২ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি এনে দেয় দলকে। তবে হৃদয় আর মুশফিক যখন ফিরলেন শেষ দশ ওভারের শুরুর দিকে, তখন অল্পেতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল।
সেটা দূর হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। সাতে নেমে তিনি খেলেন ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তাতে ভর করেই ৫০ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয় দল। পায় ২৫৬ রানের পুঁজি।