ফাইনাল হারের জন্য বেঙ্গালুরুর যেই সতীর্থকে এখনো ক্ষমা করেননি কুম্বলে 

ফাইনাল হারের জন্য বেঙ্গালুরুর যেই সতীর্থকে এখনো ক্ষমা করেননি কুম্বলে 

আইপিএলের প্রতি আসরেই শক্তিশালী দল সাজালেও এখন পর্যন্ত শিরোপার দেখা পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এখন পর্যন্ত তিন আসরে ফাইনাল ঠিকই খেলেছে তারা তবে সেখানে তিনবারই হারতে হয়েছে তাদের। এর মধ্যে একটি ফাইনাল হার এখনো ক্ষুব্ধ করে তোলে ভারতের ও বেঙ্গালুরুর সাবেক ক্রিকেটার অনিল কুম্বলেকে। সেই ফাইনাল হারের কথা মনে হলেই এখনো এক সতীর্থকে থেকে ক্ষমা করতে পারেন না তিনি। 

সেই ফাইনালটি আইপিএলের দ্বিতীয় আসরের, ২০০৯ সালে। সেবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বের অন্যতম এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগটির ফাইনালে পৌঁছেছিল বেঙ্গালুরু। তবে সেই ম্যাচটি তারা ডেকান চার্জার্সের কাছে হেরেছিল স্রেফ ৬ রানে। আগে ব্যাটিং করে ডেকানদের দেওয়া ১৪৪ রানের টার্গেট ছিল সহজের কাতারেই। তবে সেটি তুলতেও ব্যর্থ হয়েছিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন দলটি। সেই রান তাড়ায় শেষ ওভারকে ঘিরেই এই দুঃস্বপ্ন এখনো তাড়া করে বেড়ায় কুম্বলেকে। 

শেষ ওভারে বেঙ্গালুরুর জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। ক্রিজে ছিলেন কুম্বলে। ওপর প্রান্তে ছিলেন রবিন উথাপ্পা। সেখানেই উথাপ্পার করা ভুলকে মনে করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে আলাপচারিতায় কুম্বলে বলেন, ‘আমি প্রথম বলে সিঙ্গল নিয়েছিলাম। উথাপ্পা পরের দুটি বলে স্কুপ করতে গিয়ে মিস করেছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, আরপি সিংয়ের বলে স্কুপ না খেলতে। সে বল করবে লেংথে। তাই সোজা ব্যাটে কিংবা স্কয়ারে খেলার চেষ্টা করতে বলেছিলাম। তবে উথাপ্পা আমার কথা শোনেনি। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে আমরা ৬ রানে হেরে যাই। এখনও ওর সঙ্গে দেখা হলে বলি, তুমি ছক্কা মারতে পারতে। তোমার ছক্কা মারা উচিত ছিল। এখনো সেই হারের কাঁটা খচখচ করে আমার মনে।’

ম্যাচটিতে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন কুম্বলে। ৪ ওভার বল করে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। রিয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, রোহিত শর্মাদের মতো ব্যাটারদের। তবে সেই ম্যাচে বোলারদের একজনকেও দুষলেন কুম্বলে। ‘ফিল্ডিংয়ের সময় আমাদের কয়েকটা ক্যাচ মিস্‌ হয়েছিল। কয়েকটা ওয়াইড, নো বল হয়েছিল। আমার মনে আছে প্রবীণ (কুমার) পাঁচটা ওয়াইড করেছিল। নাহলে ওদের রান আরও কম হতো।’

সম্পর্কিত খবর