মেয়েকে সঙ্গী করে বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বিসমাহকে

মেয়েকে সঙ্গী করে বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বিসমাহকে

সবশেষ বিশ্বকাপে বিসমাহ মারুফ এবং তার কন্যা ফাতিমাকে কেন্দ্র করে ভারতের নারী ক্রিকেটারদের আনন্দ ভাগাভাগি এবং সেলফি তোলার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছিলো বেশ৷ যেটাতে বাহবা দিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকারের মতো রথীমহারথীরাও। ক্রিকেটের পাশাপাশি মায়ের দায়িত্বও যে পুরোপুরিভাবে পালন করা যায় সেটার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন বিসমাহ মারুফ। ক্রিকেটে এমন ছবি হয়তো আবারও সাড়া ফেলবে, অনেকেই প্রশংসা করবেন - তবে মা আর মেয়ের নামটা সেখানে বিসমাহ আর ফাতিমা থাকছে না। কারণ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বিসমাহ৷

বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে এক পোষ্টের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা জানান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। লেখেন, ‘যে খেলাটা আমি সবচেয়ে ভালোবাসি, সেখান থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ, জয় ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়—এমন সব স্মৃতি মিলিয়ে অসাধারণ এক যাত্রা ছিল। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পরিবারের সমর্থন ছিল, সে জন্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

সন্তান গর্ভে থাকাকালীন থেকে প্রসবের পর সেই সময়টায় বিসমাহর জন্য ১২ মাসব্যাপী বেতনভুক্ত ছুটির পলিসি কার্যকর করে পিসিবি। সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টেও পড়েনি এর প্রভাব। এই পলিসির অধীন আসা প্রথম ক্রিকেটারও ছিলেন বিসমাহ। সেসবের জন্যও বিদায় বেলায় পিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে একদমই ভুল করেননি এই অলরাউন্ডার।

‘পিসিবির কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি সেটি অমূল্য, বিশেষ করে তারা আমার জন্য প্রথমবারের মতো মাতা–পিতাসংক্রান্ত পলিসি গ্রহণ করেছেন। তাতে মায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। ক্যারিয়ার জুড়ে যেকোনো জায়গায়, যেকোনোভাবে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় ভক্তদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর সবার শেষে আমি ধন্যবাদ জানাই সতীর্থদের। তারা আমার কাছে পরিবারের মতো।’

পাকিস্তানকে ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২০ এবং ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া এই অলরাউন্ডার পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন রেকর্ড ২৭৬ ম্যাচ৷ নামের পাশে দেশের হয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬২৬২ রান। আছে ৮০টা উইকেটও। সবমিলিয়ে আছে ৩৩ টা ফিফটি। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন চারটা ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর আটটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অধিনায়কত্ব করেছেন ৬২ টি-টোয়েন্টি আর ৩৪ ওয়ানডেতে।

সম্পর্কিত খবর