৮০ লেগ স্পিনারকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু মে’র শুরুতে

৮০ লেগ স্পিনারকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু মে’র শুরুতে

লেগ স্পিনার নিয়ে আক্ষেপের বিষয়টা বাংলাদেশের নতুন নয়। সে আক্ষেপ ঘোচাতে এবার তৃণমূল পর্যায় থেকে লেগ স্পিনার খুঁজে আনার মিশনে নেমেছে বিসিবি। ইতোমধ্যেই দেশের আনাচ-কানাচ থেকে ৮০ জন লেগি খুঁজে বের করেছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। তাদের নিয়ে ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ২ মে থেকে। 

আজ শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানে এ বিষয়ে জানান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘লেগ স্পিনার নিয়ে আমাদের বাড়তি চিন্তা আছে। ডেভেলপমেন্টে শাহেদ মাহমুদ আছে লেগ স্পিনার কোচ হিসেবে। আপনারা হয়তো জানেনও না, আমরা জানাইনি, গত আট মাস ধরে উনি  আমাদের সঙ্গে আছেন। ইতোমধ্যেই অনেক লেগ স্পিনার খুঁজে বের করেছি আমরা। ৮০ জন খুঁজে বের করেছি। শাহেদ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে গিয়েছে। রংপুর, ফরিদপুর,রাজশাহী, ওখানে গিয়ে কাজ করে আমরা ট্যালেন্টগুলোকে বের করেছি।’ 

চিরুনি অভিযানের ফলে বেরিয়ে আসা এই প্রতিভারা আরও এক দফা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবেন। এরপর তাদের নিয়ে শুরু হবে চূড়ান্ত ক্যাম্প। খালেদ মাহমুদ জানান, ‘শিগগিরই আমরা ২ ভাগে ভাগ করে ৪০ জন করে ৮০ জনের সঙ্গে ক্যাম্প শুরু করব। ২ ও ৩ মে এই ক্যাম্প শুরু করব। ওখান থেকে আমরা সিলেকশনটাকে আরও ছোট করব, সেখান থেকে ২০ জনে এনে আমরা প্রায়োরিটাইজ করব। আমাদের বিসিবির ভাবনায় যে নাই বিষয়টা এমন নয়। অবশ্যই আছে।’ 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লেগ স্পিনারদের দেখা মেলে না খুব একটা। অচিরেই এমন পরিস্থিতিটা হয়তো বদলাবে না, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এ পরিস্থিতিটায় পরিবর্তন দেখতে চান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি আরেকটা কথা বলি, ঢাকার প্রথম, দ্বিতীয় বিভাগে কেউ লেগ স্পিনার খেলাতে চায় না। লেগ স্পিনাররা একটা বাজে বল করে ছয় খায়, সেটা কেউ মানতে চায় না। আপনি যদি সেকেন্ড থার্ড ডিভিশন ফলো করেন, ওখানে স্পিনাররা দশ ওভারে ১৮ রান দেয়। ওখানে বাঁহাতি স্পিনারদের ডমিনেশন থাকে। ওখানে তারা খেলাতে চায় না। আমাদের ক্লাব অফিসিয়ালদের বুঝতে হবে একটা লেগ স্পিনার একটা ম্যাচ উইনার। আপনি যদি রিশাদকে দেখেন, ওকে তিন বছর আগে কেউ খেলাতে চাইত না। গত বছর ও আমার সাথে আবাহনীতে ছিল। আবাহনী যেমন স্ট্রং দল সেখানে তার খেলা কঠিন। আমি ওকে শাইনপুকুরে পাঠিয়ে বলেছি তুই শাইনপুকুরে খেল, ওই ক্লাবকে আমি একটা কথা বলেছি, সে যেন নিয়মিত খেলে। এই শর্তে ওকে ছাড়তে রাজি হয়েছি। ও কিন্তু ১০ ম্যাচে ২৩ উইকেট পেয়েছে। অনেক ম্যাচ জয়ের অবদান ছিল। লেগ স্পিনার যে ম্যাচ উইনার, এটা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। আমি ক্লাব অফিসিয়ালদের বলব, আপনারা লেগ স্পিনারদের সুযোগ দেন, ওরা হয়তো এক ম্যাচে খারাপ করবে, কিন্তু ওই লেগ স্পিনার আপনার ম্যাচ উইনার হবে। এটা আমাদের বিসিবির যেমন দায়িত্ব তাদের ডেভেলপ করা, বিসিবি কিন্তু ক্লাব ক্রিকেট খেলে না, খেলে ক্লাবগুলো, তাদের আগ্রহটা থাকতে হবে।  সুযোগটা কিন্তু তাদেরই দিতে হবে। সুযোগ দিলে তাদের জন্য ফল বয়ে আনবে লেগ স্পিনাররা।’

সম্পর্কিত খবর