আরও একটি ৫০০ রানের ম্যাচ, শেষ হাসি দিল্লির
গত রাতে ইডেন গার্ডেন্সে ২৬২ রানের পাহাড় গড়েও কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরে বসেছিল পাঞ্জাব কিংসের কাছে। তার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগে একই পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের মাঠে ছিল ম্যাচটা, ২৫৭ রানের পাহাড় তুলে দিয়েও স্বস্তি ছিল না একটু। অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ইডেন ফিরে আসছে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষমেশ দিল্লিকে কলকাতার ভাগ্যবরণ করতে হয়নি। ৫০৪ রানের ম্যাচে দলটা জিতে গেছে ১০ রানের ব্যবধানে।
লুক উডের প্রথম তিন বল যখন সীমানার বাইরে পাঠালেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক, তখনই ইঙ্গিত মিলছিল বড় রানের। শেষমেশ হলোও তাই। দিল্লি রান পাহাড়েই চড়ে বসল।
তার ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন ম্যাগার্ক। মাত্র ১৫ বলেই করেন ফিফটি। তার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৯২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দিল্লি।
ফ্রেজার-ম্যাগার্ক যখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন তিন অঙ্কের দিকে, তখন তার পথ আগলে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তার গুগলিতে ডিপ মিডউইকেটে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ফেরার আগে ২৭ বলে ১১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৮৪ রান আসে তার ব্যাটে।
ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সাজঘরের পথ ধরার পর তিনে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপ আবারও দিল্লিকে নিয়ে আসেন বড় রানের পথে। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পরের গল্পটা ট্রিস্টান স্টাবসের। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস, আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় দিল্লীর সংগ্রহ।
জবাব দিতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা হয় তুলনামূলক ধীরগতির। পাওয়ার প্লে’তে ৬৫ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব।
এরপর মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক বর্মা। তাদের ৩৯ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটিতে রান তাড়ায় ছন্দ খুঁজে পায় মুম্বাই। হার্দিক ২৯ বলে ৪৬ রান করে ফেরার পর টিম ডেভিডের সঙ্গেও আরেকটা ভালো জুটি গড়ে তোলেন তিলক। তাদের জুটিতে আসে ৭০ রান। মুম্বাইয়ের সমর্থকরাও আশায় বুক বাঁধেন।
তবে ১৮তম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে ৩৭ রান করা ডেভিড লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। সমান চারটি করে চার-ছয়ে ৩২ বলে ৬৩ রান তোলা তিলক রানআউট হলে জয়ের স্বপ্ন আরও ফিকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানে ক্ষান্ত হয় মুম্বাইয়ের প্রচেষ্টা।
এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে দিল্লি। আর ৯ ম্যাচে ষষ্ঠ হার নিয়ে নয় নম্বরেই ধুঁকছে মুম্বাই।