মেসি-জাদুতে জিতল পিছিয়ে পড়া মায়ামি
প্রতিপক্ষের মাঠে ছিল ম্যাচটা। লিওনেল মেসিকে দেখতে যেখানে আজ সকালে হাজির ছিল ৬৫,৬১২ জন দর্শক। মেসির দল ইন্টার মায়ামি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হজম করে বসে গোল। নিউ ইংল্যান্ড তখন রীতিমতো উড়ছে!
তবে এরপরই ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো মেসি-জাদুর। জোড়া গোল করলেন, জোড়া গোল করালেন। তাতেই ৪-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিডাররা।
ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়ামে রাতটা যেন ছিল আর্জেন্টাইনদেরই। ম্যাচের বয়স ১ মিনিটও পেরোয়নি তখন, তমাস চাঙ্কালে মায়ামিকে চমকে দিলেন ঠিক সে সময়। খেলার আগে সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইংল্যান্ড কোচ কালেব পর্টার হুঁশিয়ারিই দিয়ে রেখেছিলেন, মেসিতে মুগ্ধ হয়ে থাকা কাউকে দলে রাখবেন না তিনি। মেসির স্বদেশি বলেই হয়তো, সন্দেহের তিরটা চলে যাচ্ছিল চাঙ্কালের দিকে। তবে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড গোল করে কোচের সে শঙ্কাকে ভুলই প্রমাণ করেন।
তবে চাঙ্কালে নিজেকে প্রমাণ করলেও বাকি দল যেন মোহাবিষ্টই হয়ে পড়েছিল মেসি-জাদুতে। ম্যাচের পরের গল্পটা যে স্রেফ মেসিরই! ৩২ মিনিটে রবার্ট টেলরের থ্রু পাস থেকে হোক, কিংবা ৬৭ মিনিটে সার্জিও বুসকেটসের পাস, দুটো বলেই নিউ ইংল্যান্ড রক্ষণের অনেক কিছু করার ছিল, কিন্তু করতে পারেনি কিছুই। বক্সে এরপর মেসি বল পেয়ে গেছেন, আর সেখানে গেলে যা হওয়ার কথা ছিল, মেসি করেছেন তাই, এই দুই গোলেই মায়ামি এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মেসির দলকে। ৮৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাস্কির গোলে ম্যাচটা যে মায়ামি স্বাগতিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেল, সে গোলেও আছে মেসির অবদান, তার বল ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক হেনরিখ রাভাস, ফিরতি বলেই গোলটা করেন ক্রেমাস্কি। ৮৮ মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে গোল করে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন সুয়ারেজ। তাতেই মায়ামি মাঠ ছাড়ে ৪-১ ব্যবধানের দারুণ এক জয় নিয়ে।
এই জয়ের ফলে মায়ামি ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি রইল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। দুইয়ে থাকা সিনসিনাটি ম্যাচ খেলেছে ১টি কম, পিছিয়ে আছে ৩ পয়েন্টে।