জেসি-ইস্যুতে যা বলছে কোয়াব

জেসি-ইস্যুতে যা বলছে কোয়াব

‘নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে চায় না ডিপিএলে খেলতে থাকা দুই দল’ – এমন একটা খবরে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ঘটনাটা নিয়ে দুই দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। 

ঘটনাটা ঘটেছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচে। সে ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি। ডিপিএলে এবারই অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। খেলা শুরুর আগে তার অধীনে খেলতে আপত্তি জানায় দুই ক্লাব মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক। 

সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে তিনি নারী আম্পায়ার বলেই এই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। তবে দুই ক্লাবও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তিনি নারী আম্পায়ার, সে কারণে নয়, মূলত তার অনভিজ্ঞতার কারণে বড় ম্যাচে তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে দুই ক্লাব।

এবার এই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল তার বিবৃতিতে বলেন, ক্রিকেটাররা জেসিকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করেছেন। 

সে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ এর চলমান মৌসুমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এর মধ্যকার খেলায় নারী আম্পায়ার সাথীরা জাকির জেসির ম্যাচ পরিচালনা সম্পর্কিত বিষয়ে নানাবিধ আলোচনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ম্যাচ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক জানা যায়, খেলা শুরুর পূর্বে, খেলা চলাকালীন এবং খেলা সমাপ্তির পর সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার জেসির আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকে সকল ক্রিকেটাররা অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করেছিলেন। ম্যাচ সমাপ্তির পর আমাদের স্বনামধন্য ক্রিকেটাররা ম্যাচের সামগ্রিক পর্যালোচনায় জেসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুপ্রাণিতও করেন। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমান সময়ে আম্পায়ার হিসেবে জেসির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

 

তবে গণমাধ্যমে ‘নেতিবাচক’ সংবাদ পরিবেশনায় হতাশাও প্রকাশ করা হয়েছে কোয়াবের ওই বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়, ‘ক্রিকেটারদের কেন্দ্র করে নেতিবাচকভাবে পরিবেশিত তথ্য সত্যিই হতাশাজনক। ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন, অগ্রগতি ও প্রগতিশীলতায় দৃঢ প্রতিজ্ঞ। নারী ক্রিকেটারদের বার্ষিক বেতন, ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ  অনুশীলনের উন্নত সুযোগ ও সকল প্রকার নিরাপত্তা বিধানে কোয়াবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেকে অবহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সাম্প্রতিক সময়ে নারী ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন, ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক পরিবেশের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের পুরুষ ও নারী ক্রিকেটাররা পরস্পরের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিভ্রান্ত ও বৈষম্য মূলক তথ্য পরিবেশন কখনোই কাম্য নয়।’

সম্পর্কিত খবর