গুজরাটকে হেসেখেলে হারিয়ে রেসে টিকে রইল ব্যাঙ্গালুরু

গুজরাটকে হেসেখেলে হারিয়ে রেসে টিকে রইল ব্যাঙ্গালুরু

এবারের আইপিএলে ২০০ রানটা স্রেফ পরিণত হয়েছে মামুলি টার্গেটে। আর সেই টার্গেটই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ব্যাঙ্গালুরুকে কোনোরকম বিপদেই ফেলতে পারেনি গুজরাট। শেষ দুই ওভারে গুজরাটের বোলারদের কচুকাটা করে ৫৮ রান তুলে মাত্র ১৬ ওভারেই ম্যাচ নিজের করে নিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। তাও ৯ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতেই টানা দুই জয়ে প্লে অফের রেসে টিকে রয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। উইল জ্যাকস ৪১ বলে ১০০ ও বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় ব্যাঙ্গালুরুর সমীকরণটা দাঁড়িয়েছে, প্লে অফে খেলতে হলে আর একটি ম্যাচও হারা যাবে না তাদের। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তাদের ২০০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় গুজরাট। সাই সুদর্শন ৪৯ বলে ৮৪, শাহরুখ খান ৩০ বলে ৫৮ ও ডেভিড মিলার করেন ১৯ বলে ২৬ রান।

তুলনামূলক সহজ সেই লক্ষ্যে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি দ্রুত ফিরলেও পথ দেখিয়ে যান ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। সেই পথেই থেকেছে কোহলি-জ্যাকস। ১৬৬ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জিতেয়ে মাঠ ছেড়েছেন দু’জনে। প্রতিপক্ষের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি দু’জনে। কোহলি ১৫৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালালেও জ্যাকস ব্যাট চালিয়েছেন ২৪৩ স্ট্রাইক রেটে।

তাতে একের পর এক বাউন্ডারি এসেছে। পুরো ইনিংসে মোট ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। যার ১০টিই এসেছে জ্যাকসের ব্যাট থেকে। গুজরাটের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার হজম করেছেন রশিদ খান। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও তিনি রান হজম করেছেন ৫১। আরেক আফগান লেগী নূর আহমেদ খরচ করেছেন ৪১ রান।

টুর্নামেন্টে ব্যাঙ্গালুরুর এটি তৃতীয় জয়। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট এখন ৬। অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে হলেও এখনও প্লে অফে যাওয়ার পথ খোলা আছে তাদের। তবে সেক্ষেত্রে বাকি সব কটি ম্যাচেই জিততে হবে তাদের। সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর দিকেও।

সম্পর্কিত খবর