ডিপিএলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলল আবাহনী

ডিপিএলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলল আবাহনী

মৌসুম জুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলা আবাহনী লিমিটেড কোনো ম্যাচ না হেরেও শেষ বেলায় এসে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল। শেষ তিন ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও যেখানে শিরোপা নিশ্চিত; সেখানে দলের একটা বড় অংশ যোগ দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে।

অবশ্য তাতে যে খুব বেশি সমস্যায় পড়েছে আবাহনী তা নয়। ঠিকই পরের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে জয় তুলে দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। যা টুর্নামেন্টে আবাহনীর টানা দ্বিতীয়। ২০১৩-১৪ সালে লিগ শুরু হওয়ার পর সবমিলিয়ে এই সংখ্যাটা এখন ৫।

আবাহনীর জন্য ম্যাচটা বেশ কঠিনই ছিল। দলের তারকা ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ ছিলেন না এই ম্যাচে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ শিবিরের শক্তি বেড়েছে সাকিব আল হাসান শেখ জামালে যোগ দেওয়ায়। এমন ম্যাচেও অবশ্য হাল ছাড়েননি আবাহনী। শুরুতে ব্যাট করতে নামা শেখ জামালকে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে নাগালের মধ্যেই আটকে রেখেছিল তারা। আবাহনীর বোলারদের বিপরীতে আগে ব্যাট করতে নামা শেখ জামাল শেষ পর্যন্ত তুলতে পেরেছিল ৯ উইকেটে ২৬৭ রান।

আর সেই রানটাও এসেছে সাকিবের ৪৯, সোহানের ৪১ ও শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে। আবাহনী বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান।

লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে থাকলেও শুরুতেই আবাহনীর উইকেট তুলে নিয়ে তাদের বিপদে ফেলেন সাকিব। সাব্বির হোসেন ৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। এরপর দলকে টানতে পারেননি নাঈম শেখও। তবে সেই ধাক্কা ভালোই সামলে নেন এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব জুটি। দু’জনের জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় আবাহনী। এরপর বিজয় ৬৭ রানে ফিরলে দলকে জয়ের পথে আরেকটু এগিয়ে দিয়ে আসেন আফিফ। করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮৩ রান।

এরপর অবশ্য নাহিদুল ইসলাম ও তানজিম সাকিবকে হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে যান আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। যেখানে জিততে ৯ রান করতে হতো আবাহনীকে। শফিকুল ইসলামের প্রথম চার বলে দৌড়ে ৮ রান তুলে যেই কাজটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন মোসাদ্দেক। এরপর পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেন দলের শিরোপা। মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ বলে ৫৩ রানে।

এ জয়ে নিশ্চিত হলো আবাহনীর পঞ্চম লিগ শিরোপা। অন্যদিকে জয় পেলেও শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেছে মোহামেডান। একই দিন শাইনপুকুরের বিপক্ষে জয় পেলেও আবাহনীর শিরোপা জয় ঠেকাতে পারেনি তারা। ফলে তাদের এখন প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে লড়তে হবে ডিপিএলের রানাসআপ হতে।

সম্পর্কিত খবর