সিরিজে ফিরতে ভারতকে ১২০ রানের চ্যালেঞ্জ জ্যোতিদের
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জন্য এ ম্যাচটি সিরিজে সমতা টানার। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্দান্ত শুরুও পেয়ে গিয়েছিল। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দিলারা, মুর্শিদা ও সোবহানা মোস্তারিরা। পাওয়ার প্লেতে জমা হয়েছিল ২ উইকেটে ৪৩ রান। সেই ধারা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গিয়েছে স্বাগতিকরা। তার আগে বাংলাদেশের পুঁজি ১১৯ রানের।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। সেই তাকে ঘিরেই ছিল যত আশা। তবে সেই আশা এদিন পূরণ করতে পারলেন না তিনি। সাজঘরের পথ ধরলেন ১১ বলে ৬ রান করে। অবশ্য এতে দায় আছে আলোচিত আম্পায়ার জেসিরও। কিছুটা বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই যে জ্যোতিকে এলবিউব্লিউয়ের আউট দিয়েছেন তিনি। অথচ এদিন তার জন্য মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল।
মোস্তারি ১৫ বলে ১৯ রান করে দলকে সঠিক পথেই রেখে গিয়েছিলেন। উইকেটে ততক্ষণে থিতু হয়ে গিয়েছেন মুর্শিদাও। তাই বড় রানের একটা আশা ছিলই। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। মাঝে ফাহিমা, সুলতানা খাতুনরা হতাশ করেছেন।
স্কোয়াডে ফেরা রিতু মনি অবশ্য কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন মুর্শিদাকে। তবে ততক্ষণে মুর্শিদাও নেতিয়ে পড়েছে। মাঝে দ্রুত উইকেট হারানোয় বাংলাদেশকে মাঝারি মানের একটা সংগ্রহ দাঁড় করানোতেই মনোযোগ ছিল তার। যে কারণে রানের চেয়ে বল বেশি খেলেছেন তিনি। এরপরও সংগ্রহকে আরও বাড়ানো যেত। কেননা, ১৫.৪ ওভারেই যে বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলেছিল দলীয় শত রান। হাতে তখনও ৫ উইকেট। উইকেটে আছেন মুর্শিদাও। তাই একটা চ্যালেঞ্জিং টার্গেট আশা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব হয়নি লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায়। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১১৯ রানে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও দীপ্তি শর্মা। সবচেয়ে কিপটে ছিলেন দীপ্তি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে খরুচে ছিলেন রেনুকা সিং। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও খরচ করেছেন ৪০ রান।