হেমলতা ঝড়ের পর বৃষ্টি, ভারতের দ্বিতীয় জয়
টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল আসতে নূন্যতম ৫ ওভার খেলতে হয়। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরুর আগে সেটুকু খেলে ফেলেছিল ভারত। বৃষ্টি হতে পারে এমন একটা পূর্বাভাস থেকে ব্যাট হাতেও তাণ্ডব চালিয়েছে দলটি। ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫.২ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৪৭ রান তুলে ফেলে ভারত। বৃষ্টি আইনে যেখানে ২৮ রান করলেই হতো সেখানে সফরকারীরা তুলে ৪৭ রান। এরপর বৃষ্টি আর না থামলে ১৯ রানে ম্যাচ জিতে ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় ২-০ তে।
এদিন ভারতের একাদশে সুযোগ পেয়েই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন হেমলতা। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে করেছেন ৪১ রান। আর তাতেই ম্যাচের দফারফা হয়ে গেছে।
তার আগে এদিন অবশ্য বল হাতে দারুণ কিছুর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরিয়ে ছিলেন আগের ম্যাচে দারুণ খেলা শেফালি ভার্মাকে। তাই খানিকটা আশা জেগেছিল বৈকি। তবে সেই আশা হতাশায় রূপ নেয় হেমলতা ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করলে। স্মৃতি মান্ধানাকে উইকেটের অন্য প্রাণ্তে দাঁড় করিয়ে রেখে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই ম্যাচ নিজের করে নিয়েছেন দলকে ১৯ রানে এগিয়ে রেখে। যেন বৃষ্টি শুরু হলেও কোনোভাবেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে না হয় ভারতকে।
এর আগে, ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে সিলেটে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুও পায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দিলারা, মুর্শিদা ও সোবহানা মোস্তারিরা। পাওয়ার প্লেতে জমা হয়েছিল ৪৩ রান। সেই ধারা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গিয়েছে স্বাগতিকরা। তার আগে বাংলাদেশের পুঁজি ১১৯ রানের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে মুর্শিদার ব্যাট থেকে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও দীপ্তি শর্মা। সবচেয়ে কিপটে ছিলেন দীপ্তি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে খরুচে ছিলেন রেনুকা সিং। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও খরচ করেছেন ৪০ রান।