বিশ্বকাপে না খেলার আফসোস বহুদিন পোড়াবে জিম্বাবুয়েকে
আর এক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসছে টি-টোয়েন্টির বিশ্বআসর। যা ঢুকে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতাতেও। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম যে কোনো বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে ২০ দল নিয়ে!
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্ববৃহৎ আসরেরও কোথাও নেই জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নামিবিয়া আর উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায় তাদের। আসছে বিশ্বকাপে তাই সিকান্দার রাজার দল নেহায়েতই দর্শক।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই সিরিজ তাই দলটার জন্য কোনো প্রস্তুতি-টস্তুতির নয়, স্রেফ আরও একটা সিরিজই। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে না খেলা নিয়ে প্রশ্নটা ধেয়ে গেল সিকান্দার রাজার দিকে। প্রশ্নটা তিনি পেয়ে গেলেন সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শুরুতেই।
তবে এমন একটা প্রশ্নের মুখোমুখি যে হতে হবে, তা আগে থেকেই জানতেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। জবাবের শুরুতে জানালেন সেটা, ‘মজার বিষয় হচ্ছে, আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আসবেই।’
এরপরই ফিরে গেলেন প্রশ্নের প্রসঙ্গে। জানালেন, বিশ্বকাপে না খেলতে পারার বেদনা কতোটুকু পোড়ায় তাকে, তার দলকে। বললেন, ‘আমি মনে করি এটা সবসময়ই বেদনাদায়ক। যখন আমরা খেলতে নামছি শুধু তখন নয়, এমনকি যখন আমরা বিশ্রামে থাকি, আমাদের কলিগ, ম্যানেজমেন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলি তখনও বেদনা দেয়, কারণ বিষয়টা সবাইকেই কষ্ট দেয়।’
এই কষ্টের শেষ শিগগিরই হবে বলে মনে করেন না রাজা। তার মনে হচ্ছে বহু দিন ধরে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে এই বেদনা। তার কথা, ‘আমি মনে করি বিশ্বকাপে আমরা খেলছি না, বিষয়টা সবসময়ই আমাদের কষ্ট দেবে। এই কষ্টটা সাময়িক নয়, আমার মনে হয় এটা এমন কিছু যা অনেক দিন ধরে বয়ে বেড়াতে থাকে।’