সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের পুঁজি ১১৭

সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের পুঁজি ১১৭

আগের দিন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। অবস্থান করছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৩ নম্বরে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তার ওপরই ছিল বেশি প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশার ছিটে-ফুটাও পূরণ করতে পারলেন না তিনি।

উল্টো ৩৬ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে দলকে ডোবালেন। তার মতো দলের সংগ্রহটা মজবুত না হওয়ার দায় আছে সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন ও রিতু মনির। তাদের কারণেই যে বাংলাদেশের সংগ্রহটা ঠেকেছে মাত্র ১১৭-তে।

অথচ সিরিজ হার এড়াতে এদিন টসে জিতে প্রাথমিক কাজটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা। আগের ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা মুর্শিদা এদিন ধীর গতিতে ব্যাট চালালেও দিলারা ছিলেন আগ্রাসী। তাতে রানও উঠেছে বেশ। সচল থেকেছে স্কোরবোর্ড। এই দুই জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান জমা করে বাংলাদেশ। এমন দারুণ একটা শুরুর পর স্বাভাবিক ভাবেই বড় সংগ্রহের প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ।

তবে সেই গল্পটা পাল্টে যায় দিলারাকে সঙ্গ দিতে অধিনায়ক জ্যোতি উইকেটে আসলে। একের পর এক ডট বল খেলতে থাকেন তিনি। সেই চাপ কাটাতে গিয়ে আগ্রাসী হয়ে উঠা দিলারা ফেরেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। এরপর আর খুব বেশি এগুতে পারেনি বাংলাদেশ।

মাঝে মোস্তারি ও জ্যোতি দু’জনেই ছিলেন যথেষ্ট ধীরগতির। যার ফলে রান আসেনি খুব একটা। একটা সময় জ্যোতি ৩৬ বলে ২৮ ও মোস্তারি ২০ বলে ১৫ রান করে ফেরেন। ভাবা হচ্ছিল এবার হয়তো চালিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে জমা করবে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেনি লোয়ার অর্ডাররা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত খবর