কারস্টেনের অধীনে নতুন পাকিস্তানকে দেখার অপেক্ষায় ডি ভিলিয়ার্স
২০০৭ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর, চার বছরের ব্যবধানে ২০১১ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। শুধুই মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাপ্টেন্সিই যে বড় ভূমিকা রেখেছিলো তা কিন্তু না। ব্যাকস্টেজ থেকে এই সাফল্যের অন্যতম বড় কারিগরের নাম গ্যারি কারস্টেন। ২০০৮ থেকে ২০১১ এই সময়ে ভারতকে জিতিয়েছে একটা বিশ্বকাপ আর একটা এশিয়া কাপ। দায়িত্ব নেওয়ার পর খেলিয়েছিলেন ২০০৮ এর এশিয়া কাপ ফাইনালও। টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার দল বানিয়েছেন। সবমিলিয়ে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচাইতে স্বর্ণালী প্রজন্মের গুরুর দায়িত্বটা বেশ সফলতার সঙ্গেই শেষ করেছেন।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত কোচিং করে বেড়ানো কারেস্টেন এবার নিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্ব। তবে সেটা সাদা বলের দুই ফরম্যাটের জন্য। এবার তার ছোঁয়ায় বদলে যাবে পাকিস্তান ক্রিকেট, এমনটাই মনে করছেন তার অধীনেই সাউথ আফ্রিকা এবং আরসিবিতে খেলা তারই স্বদেশি এবিডি ভিলিয়ার্স। সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল থ্রি-সিক্সটি’ এর এক ভিডিওতে নতুন পাকিস্তানকে দেখার জন্য প্রস্তুত হতে বলে এবি।
‘আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, আরও গোছালো পাকিস্তান দেখার জন্য প্রস্তুত হোন। প্রস্তুত হোন কিছু খেলোয়াড়ের নিজেকে শীর্ষে তুলে ধরা দেখতে। যারা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের জানান দেবে এবং খেলাটাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। পাকিস্তান সাদা বল ক্রিকেটে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল হয়ে উঠবে। আমি আশা করছি তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউটের দরজায় কড়া নাড়বে।’
তার অধীনেই ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার হয়ে খেলেছিলেন এবি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ছাড়ার পর আইপিএলে তার তত্ত্বাবধানেই আইপিএলে খেলেছিলেন মিস্টার থ্রি সিক্সটি। কোচ হিসেবে কারস্টেন কতটা ফ্রেন্ডলি এবং ক্রিকেটারকে ক্রিকেটে নির্ভার রাখেন সেই স্মৃতিচারণ করেণ ভিলিয়ার্স।
‘আমি তোমার চেয়ে ভালো নই, শুধু তোমাকে সঙ্গ দিতে এসেছি। সেটা হোক চাপের সময়, ভালো সময় বা মন্দ সময়। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়ে আসার পর ঠিক এটাই বলেছিলেন আমাকে। যেটা তিনি ভারতেও করেছেন, সেখানে ২০১১ বিশ্বকাপও জিতেছেন। সবাই দেখেছে ওই সময় ভারতীয় দল কেমন উন্নতি করেছিল।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে ফাইনালে খেলেছিলো পাকিস্তান। ২০২৩ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেতে পারেনি সেমিতেও। তাইতো কারস্টেনের সামনে অপেক্ষা করছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।