আবাহনীর জয়রথ চলছেই, বৃথা গেল সাকিবের সেঞ্চুরি
আবাহনীকে হারানোর সেরা সুযোগটা পেয়েছিল মোহামেডান। আবাহনীর মূল দলের অনেকেই এখন চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যস্ত। তবে সেই সুযোগটি লুফে নিতে পারেনি মোহামেডান। জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৯ রানে হারতে হয়েছে মোহামেডানকে। অন্যদিকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে দীর্ঘ ৫ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেও শেষ পর্যন্ত তা ম্লান হয়ে গেছে সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির সেঞ্চুরিতে। দিনের আরেক ম্যাচে জয় শাইনপুকুরের বিপক্ষে ১১১ রানের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
ফতুল্লায় মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর শুরুটা ভালো না হলেও দলকে পথ হারাতে দেননি সাব্বির হোসেন। খেলেন ৭৮ বলে ৯১ রানের ইনিংস। এরপর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দায়িত্ব নিয়ে দলের ভিতটাকে মজবুত করে আসেন। খেলেন ১০১ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস। এরপর অবশ্য শেষদিকে ব্যাটিংয়ে ধস নামলে ৪৪.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। তবে আলআউট হওয়ার আগে ৩০৩ রানের শক্ত ভিত পায় দলটি।
জবাব দিতে নেমে মোহামেডান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৫৯ করে দলকে পথে রেখে যান। মাঝারি মানের ইনিংস খেলে দলকে টানেন অঙ্কন, মিরাজ ও আরিফুল। শেষ দিকে দলকে জেতানোর দায়িত্বটা এসে পড়ে রুবেল মিয়া ও আবু হায়দার রনির কাঁধে। রনি শেষ দিকে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ২৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকলেও রুবেল মিয়ার ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের কারণে শেষ ৯ রানের হিসেব মেলাতে পারেননি মোহামেডান। আর তাতে লিগে ১৫তম জয় পায় আবাহনী।
দিনের আরেক ম্যাচে সাকিবের ৭৯ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৮০ রান তুলে শেখ জামাল। তবে সেই লক্ষ্য মাত্র ২ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলের হয়ে ১১৮ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন মাহফুজুর রাব্বি।
বিকেএসপিতে দিনের আরেক ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে শাইনপুকুরকে ৩৪২ রানের বিশাল টার্গেট দেয় প্রাইম ব্যাংক। দলের হয়ে ১৩২ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকির হাসান। জবাব দিতে নেমে অমিত হাসান ১২৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেললেও বাকিদের সহযোগিতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাদের ম্যাচ হারতে হয়েছে ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে।