৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের লড়াকু পুঁজি

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের লড়াকু পুঁজি

এক সময়ের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুয়ে এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০ দলের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা হয়নি তাদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পেরে ওঠাটা তাই কঠিনই বটে। এরপরও নিজেদের সবশেষ দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি থাকায় আশার ফানুস উড়িয়েই মাঠে নেমেছেন সফরকারীরা। তবে সেই পথে শুরুতে হোঁচট খেলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে ১২৫ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এদিন বাংলাদেশের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ের আশার ফানুস মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়তে সময় লেগেছে মাত্র ৬ ওভার। তাতেই দফারফা জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার। মাত্র ৬.২ ওভারে ৩৮ রানে তুলতেই নেই জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট। এমন নাজুক অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে পারে এমন রসদ জিম্বাবুয়ের ফুরিয়েছে বহু আগেই। তাই জিম্বাবুয়ে যে খুব বেশি দূর যেতে পারবে না তা অনুমেয়ই ছিল।

সেই অনুমান ভুল প্রমাণ করতে দলকে একটা মাঝারি মানের পুঁজি গড়ে দিতে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ক্লাইভ মান্দান্ডে। উইকেটে সতর্ক চোখ রেখে দলকে একটু একটু করে টেনেছেন। জুটি গড়ে তুলেছেন। তাতে লজ্জায় পড়তে হয়নি সফরকারীদের। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরটাকে টেনে নিয়ে যেতে পরেছে ১২৪-এ।

চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ক্রেইগ আরভিনকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান শেখ মাহেদী। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা লড়াই করার পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে উইকেটে ধস নামান সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদী। দু’জনে মিলে টানা তিন বলে তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান। পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের। এরপর সপ্তম ওভারে এসে তাসকিন ফেরান আরও দুই ব্যাটারকে। তাতেই শেষ জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শক্তি। পরের ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে সাইফ উদ্দিন তুলে নেন আরেক উইকেট। ৪১ রানে নেই ৭ উইকেট।

দলীয় শত রান দূরে থাক ৫০ রান করাটাই তখন বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সফরকারীদের জন্য। তবে সেই শঙ্কা দূর হয় মান্দান্ডে-মাসাকাদজা জুটিতে। তাদের দু’জনের ৭৫ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪ রান। যেখানে মান্দান্ডে করেন ৩৯ বলে ৪৩ রান। মাসাকাদজার সংগ্রহ ৩৮ বলে ৩৪ রান। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন ও সাইফ উদ্দিন। দুই উইকেট নিয়েছেন শেখ মাহেদী।

চট্টগ্রামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে এদিন বাংলাদেশ তাদের একাদশে ফেরায় মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে। দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। একইদিন অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিম হাসান তামিমের।

সম্পর্কিত খবর