অভিষেকেই তানজিদের ফিফটি, জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

অভিষেকেই তানজিদের ফিফটি, জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশের লক্ষ্যটা মাত্র ১২৫। বোলারাই গড়ে দিয়ে যান ম্যাচটা। ব্যাটারদের সামনে লক্ষ্যটা হয়ে উঠে অতি মামুলি। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধুঁকতে হলেও পরে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ম্যাচ জিতেছে ২৮ বল হাতে রেখে। আর তাতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে লিড নিয়েছে নাজমুল শান্তর দল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ৫ মে, সন্ধ্যা ৬টায়।

এদিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭.২ ওভারে ১ উইকেট খরচায় বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ৪৪; চট্টগ্রামে তখন ঝুম বৃষ্টি। তীব্র গরমে এমন বৃষ্টি নগর জীবনে স্বস্তির হলেও অস্বস্তি বাড়ে মাঠের সাইড স্ক্রিনে তাকাতেই। সেখানে দেখায় জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আর ম্যাচ না হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২ রানে হারবে বাংলাদেশ।

এমন খবরে নাভিশ্বাস উঠার জো বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্তর। হবেই বা না কেন, তার অতি সাবধানী ১৭ বলে মাত্র ১২ রানের কারণেই যে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এখন বৃষ্টি না থামলে হার নিশ্চিত। অবশ্য খানিক পরেই শান্ত পেয়েছেন স্বস্তির খরব, ক্রিকইনফোর হিসেবে ১ রান এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পরে অনফিল্ড আম্পায়ারদের ডিএলএস গণনায় যেটা নেমে আসে ৩৯ রানে। অর্থাৎ ৫ রানে ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ। শান্ত বোধয় এমন খবরে হাফ ছেড়েই বেঁচেছেন।

সেই হিসেবেই অবশ্য থেমে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। বৃষ্টি থামায় মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। এরপর অবশ্য ব্যাটিংয়ের অ্যাপ্রোচও বদলে ফেলেছে বাংলাদেশ। শান্ত-তানজিদ দু’জনেই আগ্রহী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। শান্ত ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরলেও নিজের অভিষেক ম্যাচে ৩৬ বলে ফিফটি তুলেছেন তানজিদ।

অবশ্য তানজিদের এই ফিফটিতে বড় অবদান আছে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের। তিনটি সহজ ক্যাচ তুলে দিলেও যে তা লুফে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। সেই সুযোগে তানজিদ নিজেও খেলেছেন হাত খুলে। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর আর কোনো বিপদ নয়। দু’জনে মিলেই ম্যাচটা শেষ করে এসেছেন। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৮ বল ও ২৮ উইকেট হাতে রেখে। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসছে ১৮ বলে ৩৩ রান।

এর আগে, টসে জিতে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ক্রেইগ আরভিনকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান শেখ মাহেদী। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা লড়াই করার পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে উইকেটে ধস নামান সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদী। দু’জনে মিলে টানা তিন বলে তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান। পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের। এরপর সপ্তম ওভারে এসে তাসকিন ফেরান আরও দুই ব্যাটারকে। তাতেই শেষ জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শক্তি। পরের ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে সাইফ উদ্দিন তুলে নেন আরেক উইকেট। ৪১ রানে নেই ৭ উইকেট। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে ১২৪ এ নিয়ে যান মান্দান্ডে-মাসাকাদজা জুটি।

সম্পর্কিত খবর