শুভ জন্মদিন বিশ্বজয়ী সাকিব
দেশের ইতিহাসে যে কয়জন বিশ্বজয়ীর খেতাব পেয়েছেন তাদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব- এই নাম অন্যতম। বাংলাদেশের পাশে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ ট্যাগ যুক্ত করতে যাদের অবদান অনেক বেশি তাদের মধ্যে অন্যতম এই নামটা।
তানজিম হাসান সাকিব। নিঃসন্দেহে জীবনের সেরা বছরটাই পার করছেন। বলা যায় স্বপ্নের মতো। মাস কয়েক আগেও জাতীয় দলের আশেপাশেও ছিলেন না। সেখান থেকে সাকিব এখন ভারতে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
অবশ্য এইক্ষেত্রে একটা প্রবাদ খুবই যায় তার ক্যারিয়ারের সাথে। কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ। হুট করেই এশিয়া কাপের আগে ইনজুরিতে পড়েন পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরী। আর তাতেই সুযোগ মেলে সাকিবের। হয়ে যান এশিয়া কাপ দলের অংশ।
বিসিবির সুনজরেও ছিলেন। ছিলেন লম্বা পরিকল্পনাতেও৷ সেই সুবাদেই সুযোগ এসেছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপে। যেখানে আগ্রাসী বোলিং আরও বেশি নজর কাড়েন ম্যানেজমেন্টের।
শুরুটাও করেছিলেন দুর্দান্ত। স্বপ্নের মতো। যেটাতে ভর করে ১১ বছর পর এশিয়া কাপে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ইবাদতের আর বিশ্বকাপে ফেরা হয়নি। এখানেও সুযোগ আসে সাকিবের।
ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের সাকিবের যে একাগ্রতা-ডেডিকেশন-পরিশ্রম-আত্মনিবেদন সেটাই তাকে এমন দিন এনে দিয়েছে। ডোনাল্ডের পেস ব্যাটালিয়নের একজন বানিয়েছে।
দুই হাজার বিশে আন্ডার নাইনটিন বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন দলকে। এরপর কোভিডে পিছিয়ে পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বার বার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বিপিএল, ডিপিএল, এনসিএল, বিসিএলে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। সাফল্য পেয়েছেন। তার চূড়ান্ত ফলাফল এখন জাতীয় দল।
ছোট্ট এই ক্যারিয়ারে মাঠের বাইরে আলোচনা-সমালোচনা অবশ্য কম হয়নি। তবে সব কিছু সামলে আপাতত তার ফোকাস ক্রিকেটে৷ আছে দেশের জন্য সব উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয়। যেমনটা আগেও করে দেখিয়েছেন। দেশের ক্রিকেট ভক্তদেরও প্রত্যাশা ২১ বছর বয়সী এই তরুণ একদিন হবেন বিশ্বসেরাদের একজন। আবার বাংলাদেশকে করবেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা তানজিম হাসান সাকিব।