১২ বছর পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে হারাল কলকাতা

১২ বছর পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে হারাল কলকাতা

সবশেষ ২০১২ সালের আইপিএল আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে তাদের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে হারিয়েছিল গৌতম গম্ভীরের কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর পেরিয়ে গেছে এক যুগ, একে অপরের বিপক্ষে জয়-পরাজয় সবকিছুর দেখা পেলেও মুম্বাইয়ের মাঠে আর জয় তুলে নিতে পারেনি কলকাতা। তবে গতকাল শুক্রবার রাতে অবশেষে ওয়াংখেড়ের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা।

এই ম্যাচ হারার ফলে কাগজে-কলমের হিসেবে আইপিএলের চলতি আসরের প্লে অফে মুম্বাইয়ের খেলার কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা যেটুকু ছিল তাও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। গতরাতের ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই অবস্থান করছে কলকাতা। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে প্লে-অফে এক পা দিয়েই রেখেছে তারা। অপরদিকে ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জয় পাওয়া মুম্বাই চলতি আইপিএলে বেশ নিষ্প্রভ।

এদিন টসে হেরে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে দেখা যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড়দের। ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন তারা। পাওয়ার প্লে-তেই সাজঘরে ফেরত যান কলকাতার চার ব্যাটার, স্কোরবোর্ডে রান তখন ৫৭।

ব্যাটিং ধ্বস সামলে দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার ভেংকাটেশ আইয়ার ও মানিশ পান্ডে। তাদের ব্যাটে চড়ে লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারীরা। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার এক বল আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে কলকাতার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৯ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে ধাক্কা খায় মুম্বাইও। টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে টেনে তোলেন সূর্যকুমার যাদব। তার ৩৫ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়ের আশা দেখতে থাকে ওয়াংখেড়ের নীল জার্সি পরিহিত দর্শকরা। তবে কলকাতার বোলারদের নৈপুণ্যে শেষ হাসিটা হাসা হয়নি স্বাগতিকদের। ৭ বল বাকি থাকতেই মুম্বাইয়ের সাওবকটি উইকেট তুলে নেন কলকাতার বোলাররা। মিচেল স্টার্ক একাই নেন চার উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

কলকাতাঃ ১৬৯ (১৯.৫ ওভার); ভেংকাটেশ ৭০। মানিশ ৪২; বুমরাহ ৩-১৮, থুশারা ৩-৪২।

মুম্বাইঃ ১৪৫ (১৮.৫ ওভার); সূর্যকুমার ৫৬, ড্যাভিড ২৪; স্টার্ক ৪-৩৩, বরুণ ২-২২।

ফলাফলঃ কলকাতা ২৪ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দা ম্যাচঃ ভেংকাটেশ আইয়ার।

সম্পর্কিত খবর