ফ্লাডলাইটের আলোয় বাড়তি অনুশীলন চান রাজা
স্বাগতিকদের সামনে জিম্বাবুয়ের ১২৫ রানের লক্ষ্যটা মামুলিই ছিল। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দারুণ এক ইন-সুইংয়ে ওপেনার লিটন দাসকে বোল্ড করে ফেরান ব্লেসিং মুজারাবানি। শুরুটাও ভালো পেলেও পরে সহজ তিনটি ক্যাচ ছেড়েছে সফরকারী দলের ফিল্ডাররা। তিনটিই আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। তার ব্যাট থেকেই শেষ পর্যন্ত এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান। এতেই ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে তাই ক্যাচ মিসে প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মুখোমুখি হতে হতো জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। গতকালের ম্যাচটি ছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়ায় পুরো ম্যাচ স্বাভাবিকভাবেই ছিল ফ্লাডলাইটের আলোয়। সেই ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে দল সেভাবে অভ্যস্ত না থাকাকেই ক্যাচ মিসের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
বড় ব্যবধানে হারের পর কারণগুলো ব্যাখ্যায় রাজা বলেন, ‘আমরা হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে ফ্লাডলাইট পেয়েছি। তাই আমাদের আলোর নিচে আরও বেশি অনুশীলন করতে হবে। মূলত আলোর নিচে খেলতে আমাদের অভ্যস্ত হওয়া দরকার তবে দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা করার তেমন সুযোগ পাই না। সেই ক্যাচ তিনটি মিসে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেগুলো না হলে সম্ভবত জিনিসগুলো ভিন্ন হত।’
ফিল্ডিংয়ে এমন দুর্দশা দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে চান রাজা। এবং এটি করতে পারলে যেকোনো দলকে হারানোর আত্মবিশ্বাস রাখছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
এদিকে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পেলেও ৪১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে পরে সেখানে অষ্টম উইকেটে ক্লিভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ৭৫ রানের সময় উপযোগী জুটিতেই মান বাঁচানোর সংগ্রহে পৌঁছায় সফরকারীরা। শুরুর দিকে টপ টু মিডল অর্ডারে ব্যর্থ মূলত দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ব্যাটাররা। ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই চার ব্যাটারের সবাই ফিরেছেন 'শূন্য' রানে। আরভিন বাদে বাকি তিনজন তো আবার ফিরেছেন প্রথম বলেই। এতে দলের সংগ্রহে শুরুতেই এমন ধাক্কার দায়ভার নিজেকেসহ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরকেই দেন রাজা। তবে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাদান্দে ও মাসাকাদজার দৃঢ়তাকে।