দাপুটে জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু 

দাপুটে জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু 

আইপিএলের এবারের আসরে শুরুর আট ম্যাচের সাতটিতেই হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে একের পর এক জয় তুলে প্লে-অফের স্বপ্ন পুনরায় বুনতে শুরু করেছে দলটি। আগের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের মাঠে ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ের পর এবার নিজেদের মাঠেও গুজরাটকে হেসেখেলেই হারাল বেঙ্গালুরু। গুজরাটকে ১৪৭ রানে থামিয়ে ১৩ ওভার ৪ বলেই ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডু প্লেসির দল। 

এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বেঙ্গালুরু। এতে পয়েন্ট তালিকার একদম তলানি থেকে সাতে উঠে এসেছে কোহলি-ম্যাক্সওয়েলরা। এদিকে গুজরাটের অবস্থা ঠিক উল্টো। টানা তিন ম্যাচে হেরে তারা নেমে গেছে তালিকার নয়ে। 

গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর জয় শুরু সেই টস থেকেই। টসে জিতে আগে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তারা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় গুজরাট। 

সহজ সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকে দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ডু প্লেসি। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৯২ রান। জয়ের জন্য তাই শেষ ১৪ ওভার প্রয়োজন ছিল স্রেফ ৫৬ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে ফেরেন ২৩ দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করা বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ডু প্লেসি। 

সেখান থেকে জয়ের সমীকরণ একদম হাতের নাগালে থাকেলও দলীয় ৯৯ থেকিয় ১১৭, এই ১৮ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ৫ ব্যাটার! সহজ ম্যাচ যেন নিমিষেই কঠিন বানিয়ে ফেলল বেঙ্গালুরু। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন কোহলি। ২৭ বলে ৪২ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপটা আবারও মাথায় চড়ান এই তারকা ব্যাটার। ১১ ম্যাচ শেষে তার মোট রান ৫৪২। ১০ ম্যাচে ৫০৭ রান নিয়ে দুইয়ে আছেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। 

কোহলি ফেরার পর জয়ের জন্য স্রেফ ৩১ রান প্রয়োজন ছিল বেঙ্গালুরুর। তবে মূল ব্যাটার হিসেবে ২২ গজে ছিলেন কেবল দীনেশ কার্তিক। হাতে ৪ উইকেট। এতসব সমীকরণে অবশ্য শেষে এসে আর ভোগায়নি স্বাগতিকদের। সপ্তম উইকেটে স্বপ্নিল সিংকে নিয়ে কার্তিকের ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো জুটিতে ৩৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে সিরাজ-গ্রিনের পেস তোপে স্রেফ ১৯ রানেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারের উইকেট হারায় গুজরাট। 

পরে মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটার শাহরুখ খান, ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়ার ৩০-ঊর্ধ্ব ইনিংসে চড়ে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি পায় গত আসরের রানার্স-আপ দলটি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন শাহরুখ। 

এদিকে বেঙ্গালুরুর পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, যশ দয়াল ও বিজয়কুমার। এর মধ্যে দুই ওপেনারকে ফেরানো সিরাজ জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

 

সম্পর্কিত খবর