টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল টানা দুই হারে। তাতে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে জায়গা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে সেখান থেকে ফিরে এসেছেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। সবশেষ অজিরা হারিয়েছে পাকিস্তানকে। ৬২ রানের এই বিশাল জয়ে শীর্ষ চারেও চলে এসেছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে তার সে সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলছিল, তাতে ৪০০কেও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। তবে ওপেনারদের বিদায়ের পরই যেন ম্যাচে ফিরল পাকিস্তান। এরপরও অবশ্য অজিরা ইনিংস শেষ করেছে ৩৬৭ রানের পাহাড় গড়ে। 

ক্যাচ মিস মানেই ম্যাচ মিস, পাকিস্তান যেন কথাটা আজ আরও একবার বুঝছে ভালোভাবেই! ডেভিড ওয়ার্নার তখন ১১ রানে, শাহিন শাহ আফ্রিদি ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মিড অনে, সেটা উসামা মির তালুবন্দি করতে পারলেই এতকিছু হয় না। সেটা উসামা করে দেখাতে পারেননি শেষমেশ।

পাকিস্তানও তার মাসুল গুণেছে, হজম করেছে জোড়া সেঞ্চুরি। ওয়ার্নার আর মার্শ করেছেন সেঞ্চুরি, তার আগে গড়ে ফেলেছেন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের জুটিও। ওয়ার্নার শেষমেশ থেমেছেন ১৬৭ রান করে। তার আগেই থেমেছেন মার্শ। তিনি করেছিলেন ১২১ রান।

তাদের বিদায়ের পরই যেন ম্যাচে ফিরল বাবর আজমের দল। এরপর থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল মার্কাস স্টয়নিস আর জস ইংলিসই দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন। আর বাকিরা এক অঙ্কেই বিদায় নিয়েছেন। শাহিন আফ্রিদি পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এতে। 

তবে এরপরও পাকিস্তান বড় এক সংগ্রহই পেয়েছে। ৯ উইকেট খুইয়ে তুলে নেয় ৩৬৭ রানের বিশাল পুঁজি।

জবাবে পাকিস্তানও শুরুটা পেয়েছিল ভাল। ২০ ওভারেই তুলে নিয়েছিল ১৩১ রান। তবে পাকিস্তানের ধসে পড়ার শুরু এরপরই। মার্কাস স্টয়নিসের টানা দুই ওভারে ফেরত যান দুই ওপেনার ইমাম উল হক আর আব্দুল্লাহ শফিক। বাবর আজম শুরু পেলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি। সেখান থেকে সউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান পরিস্থিতি সামাল দেন। যদিও শাকিলের বিদায়ে আবারও বিপদে পড়ে পাকিস্তান। 

সেখান থেকে আর দলটিকে উদ্ধার করতে পারেনি কেউ। নিয়মিত উইকেট খুইয়ে ৩০৫ রানে অলআউট হয় দলটি। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জেতে ৬২ রানে।