ক্যাম্পবেলের রেকর্ড, বাংলাদেশের চাই ১৩৯

ক্যাম্পবেলের রেকর্ড, বাংলাদেশের চাই ১৩৯

টি-টোয়েন্টিতে কী করে খেলতে হয়, তা যেন অভিষেকেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের শেখালেন জনাথন ক্যাম্পবেল।

৪২ রানে তার দল খুইয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। এরপর তার ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করেই জিম্বাবুয়ে প্রতি আক্রমণ করল। শেষ দশ ওভারে তুলল ১০০ রান। তাতেই ইনিংসটা জিম্বাবুয়ে শেষ করল ১৩৮ রান তুলে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুটা করেছিল শম্ভুকগতির। এরপর তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউর শিকার বনে যান মারুমানি। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে তার করা বলটা মারুমানির প্যাডে লাগলেই এলবিডব্লিউর আবেদন তোলে দল। তবে তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। যদিও রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।

পাওয়ারপ্লেতে ব্যাট থেকে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। একটা চার এসেছে তাও লেগ বাই হয়ে। পাওয়ারপ্লে শেষে খোলস ছেড়ে বেরোতে গিয়ে আউট হন জয়লর্ড গাম্বি। সাইফউদ্দিনকে উইকেট দিয়ে তিনি ফেরেন ৩০ বলে ১৭ রান করে।

এরপর ১০ম ওভারে আক্রমণে আসেন রিশাদ হোসেন। প্রথম বলে সিকান্দার রাজা, আর ক্লাইভ মাদান্দেকে সাজঘরে ফেরান তৃতীয় বলে। ৩৬ রান তুলতে ৪ উইকেট চলে যায় জিম্বাবুয়ের। ১০ ওভার শেষ করে ৩৮ রান তুলে। প্রথম ম্যাচে এই পর্যায়ে জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ৪৯ রান, যদিও ৭ উইকেট খুইয়ে।

১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আরও এক উইকেট চলে যায় জিম্বাবুয়ের। শেখ মাহেদির বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দেন ক্রেইগ আরভিন। ৪২ রানে ৫ উইকেট অর্ধেক ইনিংস হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

এরপরই ক্যাম্পবেলের প্রতি আক্রমণের শুরু। সঙ্গে তিনি পেয়ে যান ব্রায়ান বেনেটকে। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে তুলে ফেলেন ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি। ক্যাম্পবেলকে শেষমেশ ফেরান শরিফুল। ততক্ষণে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ফেলেছেন তিনি। গড়ে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ান রেকর্ডও। অভিষেকে কোনো জিম্বাবুয়ে ব্যাটারের এটাই সর্বোচ্চ রান। 

ওপাশে বেনেটও কম করেননি। ২৯ বলে তিনি করেছেন ৪৪ রান। তাতেই শেষ দশ ওভারে জিম্বাবুয়ে তোলে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান। ইনিংস শেষ করে ১৩৮ রান নিয়ে।

সম্পর্কিত খবর