বৃষ্টি, ‘রোমাঞ্চ’ শেষে বাংলাদেশ ২-০ জিম্বাবুয়ে

বৃষ্টি, ‘রোমাঞ্চ’ শেষে বাংলাদেশ ২-০ জিম্বাবুয়ে

ম্যাচটা তখন পর্যন্ত পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান, হাতে ছিল ২৪ বল। ১৩৯ রানের লক্ষ্য সামনে নিয়েও ‘রোমাঞ্চ’ ভর করে বসেছিল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। বার বার বৃষ্টির বাগড়া পাওয়া ম্যাচটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত অমন ‘রোমাঞ্চকর’ হয়ে রইল না। বাংলাদেশ ম্যাচটা শেষ করলো বেশ হেসে-খেলেই, ৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে; তাতে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানেও।

‘পরীক্ষানিরীক্ষা নয়, সিরিজ জেতাটাই মুখ্য’ -সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এমনই জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তার দল পৌঁছে গেছে সে লক্ষ্যের আরও কাছে। দল অবশ্য নেমেছিলই এ লক্ষ্য নিয়ে। তাই তো ‘উইনিং কম্বিনেশনের’ সঙ্গে কোনোপ্রকার কোনো আপস নয়, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলল বাংলাদেশ। তার চেয়েও বড় বিষয়, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে নিলেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্তই, চট্টগ্রামের রান প্রসবা উইকেটে দল কেমন রান তুলতে পারে, সে বিষয়টা পরখ করে দেখতেও চাইলেন না!

শুরুর বোলিংটা হলো আগের ম্যাচের মতোই। না, একটু ‘ভুল’ হয়ে গেল যেন। আগের ম্যাচে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল ৪১ রানে, আজ জিম্বাবুয়ের পঞ্চম উইকেট গেল ৪২ রানে। বাংলাদেশকে আসল মাথাব্যথাটা উপহার দিল পরের জুটিটা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। অভিষিক্ত জনাথন ২৪ বলে ৪৫ রান করেন, গড়ে ফেলেন অভিষেকে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি। ওপাশে বেনেট ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

জবাবে বাংলাদেশ শুরুটা করে ইতিবাচক মেজাজে। রিচার্ড এনগারাভার পর ব্লেসিং মুজারাবানির ওভারেও লিটন দাস তোলেন ৯ রান। চতুর্থ ওভারে আইন্সলে এন্ডলভুর ওভার থেকেও আসে ওই ৯। পঞ্চম ওভারে মুজারাবানি ২ রান দিয়ে পরিস্থিতিটা খানিকটা আয়ত্বে আনেন জিম্বাবুয়ের। দুই ওপেনারও একটু চাপে পড়ে যান যেন।

পরের ওভারের প্রথম বলের পর নামে বৃষ্টি। যদিও তার জন্য খেলা বন্ধ ছিল মোটে দুই মিনিট। ফেরার পর দারুণ এক চার মারেন তামিম। তবে তিনি বিদায় নেন পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই। এন্ডলভুর পঞ্চম বলে তিনি ক্যাচ দেন ব্রায়ান বেনেটকে। বাংলাদেশ তাতে পাওয়ারপ্লেটা শেষ করে ৭ ছুঁইছুঁই রান রেট নিয়ে।

তবে এরপর লিটন, শান্তরা ফেরেন দ্রুতই, জাকের আলী অনিকও একটা ছক্কা মারার পর বিদায় নেন। ফলে সমীকরণটা এসে দাঁড়ায় ২৪ বলে ৩৩ রানে। এরপরই তাওহীদ হৃদয় এক ওভারে ১৬ রান তুলে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনে দেন বাংলাদেশের। পরের পথটা বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় হেসেখেলেই। ৬ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।

সম্পর্কিত খবর