লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে সহজ জয়ে শীর্ষে কলকাতা

লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে সহজ জয়ে শীর্ষে কলকাতা

লক্ষ্ণৌর সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে এর আগের দেখায় গত এপ্রিল ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই ম্যাচেও ব্যাটাররা চালিয়েছিলেন তাণ্ডব। এবার লক্ষ্ণৌর মাঠেও তাদের ব্যাটিং ঝড়ে ভোগাল বাংলার দলটি। ২৩৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে স্বাগতিকদের ১৩৭ রানেই আটকে ফেলে কলকাতা। এতেই ৯৮ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। 

এই জয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসকে সরিয়ে শীর্ষে উঠল কলকাতা। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। সমান পয়েন্ট দুইয়ে থাকা রাজস্থান অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে। এদিকে বড় হারের পরও ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে আছে লক্ষ্ণৌ। 

লক্ষ্ণৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামের গতকালের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৫ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ দাঁড় করায় কলকাতা। 

বিশাল সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও দ্বিতীয় উইকেটে মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে তা সামলে নেন রাহুল। তবে বিপত্তি আসে এই জুটি ভাঙার পর। দলীয় ৭০ রানের মাথায় হারশিত রানার বলে ফেরেন রাহুল। সেখান থেকে সংগ্রহ ১০৯-এ পৌঁছাতেই নেই আরও ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে পতনের সেই ধারা জারি রেখে ১৬ ওভার ১ বলে ১৩৭ রানেই থামে লক্ষ্ণৌর ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন স্টয়নিস। এদিকে কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন হারশিত ও বরুণ চক্রবর্তী। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে আরও একবার তাণ্ডব দেখায় ফিল সল্ট ও সুনীল নারাইন জুটি। তাদের জুটি থেকে স্রেফ ২৬ বলেই আসে ৬১ রান। সেখানে ১৪ বলে ৩২ রান করে ফেরেন সল্ট। তবে নারাইন ধরে রাখেন রানের গতি। দারুণ ছন্দে থাকা এই আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। তবে দলীয় ১৪০ রানের মাথায় রবি বিষনোইয়ের বলে ফেরেন এই ক্যারিবীয় তারকা। ৩৯ বলে ৬ চার ও ৭ ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮১ রান। এ নিয়ে আসর এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৪৬১ রান করেছেন নারাইন। যা তার আইপিএলে যেকোনো আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। 

সল্ট-নারাইনের ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমে এলেও শেষ দিকে অধিনায়ক শ্রেয়াসের ১৫ বলে ২৩ এবং রামানদীপের ৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে ২৩৫ রানের বিশাল সংগ্রহে পৌঁছে যায় কলকাতা। লক্ষ্ণৌর হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাভিন-উল-হক।

সম্পর্কিত খবর